আবহমান সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করাতে হবে: সিকৃবি উপাচার্য
- সিকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৪৭ PM , আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৪৭ PM
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঁঞা বলেছেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাঙালির একদিনের ঐতিহ্য নয়। বাঙালির কৃষ্টির সঙ্গে সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে আছে দিনটি। আগে গ্রামে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সবচেয়ে বড় অনুসঙ্গ ছিল হালখাতা। এ উপলক্ষে খাওয়া দাওয়া ও গানবাজনার আয়োজন করা হতো। এসব আবহমান সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করাতে হবে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, পহেলা বৈশাখের দিন গ্রামে মেলা বসতো। বৈশাখী মেলার জন্য আমরা সারাবছর ধরে টাকা জমা করতাম। আমরা আমাদের এসব ঐতিহ্য ভুলতে বসেছি। আমাদের মধ্যে পহেলা বৈশাখের এসব স্মৃতি প্রোথিত আছে। কিন্তু নতুন প্রজন্ম এসব আয়োজন দেখছেনা। পহেলা বৈশাখের উদ্দেশ্য হলো এইসব সংস্কৃতি নতুনদের মাঝে প্রোথিত করা।
উপাচার্য আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী মঙ্গল শোভাযাত্রাকে হিন্দু ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট করার চেষ্টা করে। এছাড়াও প্রতিবছর ঈদ বা পূজা আসলে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা করে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। আমরা বাঙালিরা যে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সহাবস্থান করি এটিই মুল বিষয়।
অপরদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) নানা আয়োজনের মাধ্যমে বরণ করা হয়েছে বাংলা পঞ্জিকার প্রথম এই দিন। যদিও এবার ইদের ছুটির জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারনে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ও কর্মচারী দেশের বাড়ি চলে গিয়েছেন। তবুও আজ পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এসময় সিকৃবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, সিকৃবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।