বাকৃবির বিএসভিইআরে প্রদির্শত হবে ৭০টি উপস্থাপনা, ৮৪টি পোস্টার পেপার
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২১ AM , আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২১ AM
‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে প্রাণিস্বাস্থ্যের টেকসই উন্নতি এবং উৎপাদন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন রিসার্চের (বিএসভিইআর) ২৯তম আন্তর্জাতিক বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন। আগামী ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হবে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন বিএসভিইআরের সাধারণ সম্পাদক ও বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে দেশ বিদেশের ৫০০জন বিজ্ঞানী, গবেষক, মাঠপর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ান ও উদ্যোক্তা এতে অংশগ্রহণ করবেন। বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে একটি সিম্পোজিয়াম সেশন, একটি প্লেনারি সেশন এবং আটটি ওপেন পেপার সেশন রয়েছে। একটি বার্ষিক বক্তৃতা, একটি মূল প্রবন্ধ এবং দুটি পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা সহ মোট ৭০টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং ৮৪টি পোস্টার পেপার উপস্থাপন করা হবে। সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রের মধ্যে থেকে মৌখিক ও পোস্টার উভয় ক্যাটাগরিতে তিনজন করে সেরা উপস্থাপকের পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
বিএসভিইআরের ২৯তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ভিশনকে সামনে রেখে প্রানীসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়নের ব্যাপারে জোর দিতেই এ বছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রাণিসম্পদ শিল্পে উদ্ভাবন ও উন্নতির জন্য অনেক সুয়োগ নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: ‘তোরা তো ঠিকঠাক রেপও করতে পারিস না’, র্যাগিংয়ের সময় ছাত্রলীগ নেতা
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস এবং রোবোটিক্সের মতো উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রাণিস্বাস্থ্য, আচরণ এবং কর্মদক্ষতার উপর ব্যাপক উন্নতি হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে জড়িত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণিজ পণ্যের আরও দক্ষ ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
বিএসভিইআরের সভাপতি ও বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি বলেন, বিএসভিইআরের সম্মেলন বার্ষিক বৈজ্ঞানিক মিলনমেলা। এবারের সম্মেলনে ন্যানো টেকনোলজি, ভ্যাকসিন, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স, ফুড সিকিউরিটি, হার্বাল প্রোডাকটিভিটির বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাবে। আধুনিক এই প্রযুক্তির সাহায্যে স্বল্প খরচেই সেবাগুলো উপভোগ করতে পারবেন প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র কৃষকেরা।