ট্রেনের ব্যাগ রাখার জায়গায় বসেই বাড়ি ফিরলেন ভর্তিচ্ছুরা

বাড়ি ফিরছেন বাড়ি ভর্তিচ্ছুরা
বাড়ি ফিরছেন বাড়ি ভর্তিচ্ছুরা  © ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে টানা তিনদিন চলা এ পরীক্ষায় আবাসন, যাতায়াত ও খাবারের দামবৃদ্ধিসহ নানা কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের। ভর্তিচ্ছুদের মতে, তারা সব থেকে বেশি যাতায়াত দুরবস্থার শিকার।

গতকাল বুধবার (২৭ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পর, রাজশাহী থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রাতের ট্রেনের ভেতরের এটি স্থিরচিত্র প্রকাশ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। যেখানে তাদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিরই প্রমাণ মেলে।

ছবিটিতে দেখা যায়, ভর্তিচ্ছু ও সাধারণ যাত্রী দিয়ে কানায় কানায় ভরে আছে ট্রেনের বগি। এমনকি ট্রেনের উপরের অংশে লাগেজ স্টোরেজের জন্য রাখা জায়গাটুকুতেও ভর্তিচ্ছুরা বসে আছেন। 

এছাড়াও ওই দিন ট্রেনে উঠতে না পেরে রেল স্টেশনে অবস্থান নিয়ে ট্রেন আটকে দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এতে দুই ঘণ্টা ধরে ঢাকাগামী ট্রেনটি রেলস্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রেও জানা গেছে, বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিতে রাজশাহী রেল স্টেশনে যান। সেখানে শিক্ষার্থীরা ট্রেনে ওঠেন। প্রতিটি বগিই শিক্ষার্থী দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায়। তবে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ট্রেনে উঠতে না পারায় তারা অতিরিক্ত বগির দাবি জানায়। পরে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে শিক্ষার্থীরা উপরে ব্যাগ রাখার জায়গায় বসেই যাত্রা করেছে।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করেও সবার জায়গা নিশ্তি করা যায়নি। গতকাল এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তা অসীম কুমার জানান, পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাওয়ার কথা ছিল বিকাল ৪টায়। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে এখনো ট্রেন ছাড়া সম্ভব হয়নি। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ট্রেনে একটি অতিরিক্ত বগি লাগানো হয়েছে। সবাই পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে যেতে চাচ্ছে। এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এই ট্রেনে কীভাবে পাঠাবো। তারা আমাদের কথাই শুনছে না।

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৫-২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার সব ইউনিটে মোট ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৭৮ হাজার। তবে পরীক্ষা চলাকালে রাজশাহী নগরীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবক মিলে প্রায় তিন লাখ মানুষের সমাগম হয়।


সর্বশেষ সংবাদ