কোন বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন কতজন?

কোন বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন কতজন?
কোন বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন কতজন?  © সংগৃহীত

চলতি বছরের ২০২৪ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় সারা দেশে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। সেই ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ৪৮ হাজার ৫৪৮, রাজশাহীতে ২৪ হাজার ৯০২, কুমিল্লায় সাত হাজার ৯২২, যশোরে নয় হাজার ৭৪৯, চট্টগ্রামে পাঁচ হাজার ৭৫৯, বরিশালে চার হাজার ১৬৭, সিলেটে ছয় হাজার ৬৯৮, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ২৯৫, ময়মনসিংহে চার হাজার ৮২৬, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে নয় হাজার ৬১৩ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে চার হাজার ৯২২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ হাজার ৯৩৩ জন এবং ছেলেরা পেয়েছে ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে কেবল এইচএসসিতে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ শিক্ষার্থী। আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে নয় হাজার ৬১৩ পরীক্ষার্থী। ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্সে পাসের হার ৯৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৯২২ শিক্ষার্থী।

গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাহরিয়ার পেলেন জিপিএ-৪.৮৩

ফলাফল পর্যালোচনা করে জানা যায়, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯.২১ শতাংশ, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭০.৩২ শতাংশ, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১.৮৫ শতাংশ, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭১.১৫ শতাংশ, যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৪.২৯ শতাংশ, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৫.৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭.৫৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৩.২২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার সারা দেশে পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই এবং ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর অবশিষ্ট পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি করে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার দেয় সরকার।


সর্বশেষ সংবাদ