রাবির ‘সি’ ইউনিটের বিষয় পছন্দসহ ভর্তির সম্ভাব্য সময় প্রকাশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ব্যবহারিক ও বিষয় পছন্দক্রম পূরণসহ ভর্তির অন্যান্য সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার আগ্র প্রকাশের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর বিষয় পছন্দক্রম পূরণসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ভর্তিচ্ছুদের।

এর আগে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় সোমবার (১১ মার্চ)। পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানতে পারছেন। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ‘সি’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ৭৪ হাজার ৫৭৭ জন আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৬১ হাজার ১১৯ জন। 

এর মধ্যে পাস করেছেন ২৮ হাজার ৯১ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৩২ হাজার ৬৫৮ জন। ওএমআর বাতিল হয়েছে ৩৬৬ জনের। বিজ্ঞান শাখায় পাসের হার ৪৬ শতাংশ। এ শাখায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে ৯৬। অবিজ্ঞান শাখায় আবেদন করেছিলেন এক হাজার ৭৭৮ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৬৯৭ জন। 

এ শাখায় পাস করেছেন এক হাজার ৩৬৮ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৩২৭ জন। ওএমআর বাতিল হয়েছে এক জনের। অবিজ্ঞান শাখায় পাসের হার ৮০.৬০ শতাংশ। এ শাখায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে ৮৭।

ভর্তি প্রক্রিয়ার পরবর্তী কার্যক্রমসমূহের সম্ভাব্য সময়সূচি
শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ ১৭ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে ২৩ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান ব্যবহারিক পরীক্ষা (সম্ভাব্য) ২১ অথবা ২২ এপ্রিল।

বিভাগ পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে ২৫ এপ্রিল থেকে ৪ মে। এরপর প্রথম নির্বাচন তালিকা প্রকাশ করা হবে ৭ মে। এ তালিকার সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও ভর্তি ১২ মে থেকে ১৪ মে। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সি-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চীফ কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সম্ভাব্য এ সময়সীমা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২৫ এপ্রিল থেকে ৪ মের মধ্যে অনলাইনে বিভাগ পছন্দক্রম প্রদান করতে হবে। কোনো ভর্তিচ্ছু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পছন্দক্রম পূরণ করতে না পারলে সি-ইউনিটে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সি-ইউনিটের কোন বিভাগে ভর্তির আর সুযোগ থাকবে না। 

পছন্দক্রম পূরণ করার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কোনো বিভাগে ভর্তি হতে আদৌ আগ্রহী না হলে সেটি পছন্দক্রম থেকে বাদ রাখতে পারবে। তবে পছন্দক্রম প্রদানের পর তদনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলে সে বিভাগে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে, নতুবা সি-ইউনিটে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সি-ইউনিটের কোনো বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ আর থাকবে না।

উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে যারা শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে আগ্রহ প্রকাশ করবে তাদেরকে একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। স্টেডিয়ামে দৌড়, শটপুট, লং জাম্প প্রভৃতি প্রতিযোগিতায় তাদের দক্ষতা যাচাই করা হবে। এ জন্য ১৭ মার্চ থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে ভর্তি ওয়েবসাইটে আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে।

পছন্দক্রম পূরণকারী ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে মেধাক্রমানুসারে প্রথম নির্বাচন তালিকা ৭ মে অপরাহ্ণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ওয়েবসাইট admission.ru.ac.bd-তে প্রকাশিত হবে। প্রথম নির্বাচন তালিকায় নির্বাচিতদের ১২ মে হতে ১৪ মে সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও ভর্তি সম্পন্ন করা হবে।

পরবর্তীতে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে শুধু ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিভাগ-পছন্দের ক্রম অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। এজন্য প্রার্থিকে কিছু করতে হবে না- নোটিশে জানতে পারবে। এছাড়া শূন্য আসনের জন্য অপেক্ষমান তালিকা থেকে পরবর্তীতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হবে, যার সম্ভাব্য সময়সূচী যথাসময়ে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে।

আরো পড়ুন: রাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

মুক্তিযুদ্ধ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ভর্তি সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার প্রধান চিকিৎসকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে উক্ত দপ্তর দুটি থেকে যথাসময়ে বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। 

পোষ্য কোটায় ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রথম নির্বাচন তালিকার সঙ্গে প্রকাশ করা হবে। প্রকাশিত ফলাফলে কোনো ভুলভ্রান্তি গোচরীভূত হলে তা সংশোধন করার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় বা সি-ইউনিট কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

এর আগে, গত ৫ মার্চ চারটি শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। চার গ্রুপের নিবন্ধিত পরীক্ষার্থী ছিল প্রথম তিন গ্রুপে ১৮ হাজার ৬৪৪ জন করে এবং চতুর্থ গ্রুপে ১৮ হাজার ৬৪৫ জন। মোট  পরীক্ষা দেন ৭৪ হাজার ৫৭৭ জন। পরীক্ষায় উপস্থিতির শতকরা হার ছিল গ্রুপ-১ এ ৮২.০৩, গ্রুপ-২ এ ৮১.৯০, গ্রুপ-৩ এ ৮২.০৭ এবং গ্রুপ-৪ এ ৮২.৪৭ শতাংশ। ‘সি’ ইউনিটে উপস্থিতির গড় হার ছিল ৮২.১২ শতাংশ।


সর্বশেষ সংবাদ