মাধ্যমিকের উত্তরপত্রে ছাত্র লিখল, ‘ডিয়ার সুমি, মেনি মেনি শুভেচ্ছা’

চলতি বছর ভারতে সশরীরে মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে
চলতি বছর ভারতে সশরীরে মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে  © আনন্দবাজার

এক ছাত্র খাতায় লিখেছে, ‘ডিয়ার সুমি, মেনি মেনি শুভেচ্ছা ও ভালবাসা। লকডাউন হোয়েন কাটালে?’ আরেকজন লিখেছে, ‘আই হোপ ইউ? হোপ ইউ আর ফাইন? আই ওয়ান্ট টু শেয়ার উইথ ইউ অ্যাবাউট’। এটি হোয়াট‌্সঅ্যাপে কথা চালাচালি মনে হলেও বাস্তবে তা নয়।

ভারতের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজির উত্তরপত্রে এসব লিখে রেখেছে। বাক্যের এমন গঠন ও শব্দ বিন্যাস দেখে পরীক্ষকরাতো থ হয়ে গেছেন। ভারতীয় বাংলা গণমাধ্যম আনন্দবাজার এ খবর দিয়েছে।

একজন পরীক্ষক বলেন, ‘অনেক পরীক্ষার্থী সাদা খাতা জমা দিয়েছে। কেউ কেউ খাতা ভরিয়েছে হিজিবিজি লিখে।’ তবে নজরে পড়ছে বিচিত্র ভাষার ব্যবহার। এটিকে ‘হোয়াটসঅ্যাপ ল্যাঙ্গুয়েজ’ বলছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

ইংরেজির এক শিক্ষিকা বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে জগাখিচুড়িবাবে লেখে অনেকে। সেই ভাষাতেই উত্তর লিখেছে পরীক্ষার্থীদের একাংশ। সব বাক্য অর্থহীন।’

পরীক্ষায় হিজিবিজি লেখা, আঁকিবুকি বা ‘একটু পাশ করিয়ে দেবেন’ ধরনের করুণদাবির সঙ্গে পরীক্ষকেরা পরিচিত। কিন্তু এখন এমন ভাষা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। করোনা সংক্রমণ কমায় মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছে। খাতা দেখাও শুরু করেছেন পরীক্ষকেরা। এক পরীক্ষক বলেন, ‘কিছু খাতার যা অবস্থা, তাতে তারা প্রস্তুতি নিয়েছিল কি না, বুঝতে পারছি না।’

আরো পড়ুন: কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচসেরা ক্রিকেটার মোস্তাফিজ

শিক্ষকেরা মনে করছেন, করোনার কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। দীর্ঘ অনভ্যাসেই এমন লেখা বলে মনে করছেন পরীক্ষক ও কিছু স্কুল শিক্ষক। অনলাইনে পড়াশোনার কারণে ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। পড়াশোনাও হোয়াটসঅ্যাপ নির্ভর। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে উত্তরপত্রে।

শালবনির মৌপাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূন পড়িয়া বলেন,  ‘স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনার খুবই ক্ষতি হয়েছে। অনেকে ভুলে গেছে পরীক্ষার খাতা মেসেজ লেখা বা চ্যাট করার জায়গা নয়। সেখানে ব্যকরণ মেনে শুদ্ধ ভাষা লিখতে হয়।’


সর্বশেষ সংবাদ