মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছুঁই ছুঁই
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ AM , আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১০:২৯ AM

মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কারণে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০০ ছুঁই ছুঁই। শনিবার সকালে সে দেশের সামরিক জান্তা সরকারকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অন্তত ৬৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পের কারণে। আহতের সংখ্যা ১৬৭০। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে।
শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে মিয়ানমারের মাটি। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার পরে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী ‘আফটারশক’টি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৭। উভয়ক্ষেত্রেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই দুই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর বাকি ‘আফটারশক’গুলি আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১.৫৬ মিনিটেও এক বার ভূমিকম্প হয়েছে মায়ানমারে। তার তীব্রতা ছিল ৪.২। ‘আফটারশক’গুলি উদ্ধারকাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিবেশী তাইল্যান্ডও। সেখানকার রাজধানী শহর ব্যাঙ্ককে নির্মীয়মাণ ৩০ তলা ভবন ভেঙে পড়েছে জোরালো কম্পনের ফলে। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে দু’টি সেতু ভেঙে গিয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছিল সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। মান্দালয় শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে একটি মসজিদ ভেঙে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙেছে একাধিক বাড়ি। রাতে জান্তা প্রধান মিন আং লাইং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক এলাকায় এখনও বাড়ি ভেঙে পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। আমরা সাধ্যমতো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্যও আবেদন জানাচ্ছি।’’ গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুন্টা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেই সমস্ত এলাকায় ভূমিকম্পের ফলে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশের অন্তত ছ’টি প্রদেশে শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করেছে জুন্টা সরকার।