শিক্ষকদের আন্দোলন © ফাইল ফটো
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া দুই ধাপে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিটি এখনি পূরণ হচ্ছে না। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা জানান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবো। কর্মচারীদের উৎসব ভাতা নিয়ে আমাদের একটা দাবি ছিল। তারা আগে থেকেই ৫০ শতাংশ করে পাচ্ছেন। এটা আমরা ৭৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছি। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন, তবে এ মুহূর্তে এটা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া দুই ধাপে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোস. শরিফুন্নেসা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মতিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা নিম্নোক্ত শর্তাদি পরিপালন সাপেক্ষে ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ হতে মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) এবং ১ জুলাই ২০২৬ তারিখ হতে উক্ত ৭.৫ শতাংশের অতিরিক্ত আরও ৭.৫ শতাংশ অর্থাৎ মূল বেতনের সর্বমোট ১৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) নির্ধারণ করা হলো।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর থেকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে মিছিল এবং শাহবাগ মোড় অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ।