শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় যা বলেছেন মহানবী (সা.)

০১ মে ২০২৫, ১০:১০ AM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৫:০৮ PM

© প্রতীকী ছবি

সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে গড়ে তুলেছে কর্মক্ষেত্র। কেউ উদ্যোক্তা বা মালিকের ভূমিকায়, কেউ বা পরিশ্রমী শ্রমিক হিসেবে যুক্ত হয়েছে উৎপাদনের এই প্রক্রিয়ায়। জীবিকার প্রয়োজনে শ্রমিকরা অন্যের জমি, প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় শ্রম দিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই তারা যথোপযুক্ত মর্যাদা ও শ্রমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। ইসলাম এই প্রসঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে—যেখানে মালিক ও শ্রমিক উভয়ের অধিকার ও দায়িত্ব ন্যায়, সাম্য এবং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

শ্রমিক-মালিক নিছক প্রভু ও ভৃত্যের মতো নয়; বরং এটিকে ভাই ভাই সম্পর্ক বলে অভিহিত করেছেন মহানবী (সা.)। আল্লাহর নবী (সা.) বলেন,  ‘যারা তোমাদের কাজ করছে তারা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদের তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন।’ (বুখারি শরিফ)

আল্লাহর নবী (সা.) শ্রমিকের অধিকার বিষয়ে অন্য এক হাদিসে উল্লেখ করেছেন, ‘তোমরা যা খাবে, তা থেকে তাদের (শ্রমিককে) খাওয়াবে এবং যা পরিধান করবে, তা তাকে পরিধান করতে দেবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে ইসলামের নীতি হলো, ‘শ্রমিক নিয়োগ করলে তার মজুরি কত হবে, তা অবশ্যই তাকে জানিয়ে দিতে হবে।’ (হিদায়া)

একই কথা মহানবী (সা.) অন্য এক হাদিসে উল্লেখ করেছেন এভাবে, ‘তোমরা অধীনস্থদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে এবং তাদের কোনো রকমের কষ্ট দেবে না। তোমরা কি জানো না, তাদেরও তোমাদের মতো একটি হৃদয় আছে। ব্যথা দানে তারা দুঃখিত হয় এবং কষ্ট বোধ করে। আরাম ও শান্তি প্রদান করলে সন্তুষ্ট হয়। তোমাদের কী হয়েছে যে তোমরা তাদের প্রতি আন্তরিকতা দেখাও না।’ (বুখারি)

শ্রমিকরাও মানুষ। তাদের শক্তি-সামর্থ্য ও মানবিক অধিকারের প্রতি লক্ষ রাখার বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মজুরদের সাধ্যের অতীত কোনো কাজ করতে তাদের বাধ্য করবে না। অগত্যা যদি তা করাতে হয়, তবে নিজে সাহায্য করো।’ (বুখারি)

শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত না করার পরিণাম সম্পর্কে মহানবী (সা.) কঠোর বাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি কঠিন অভিযোগ উপস্থাপন করব—যে ব্যক্তি কাউকেও কিছু দান করার ওয়াদা করে ভঙ্গ করে, কোনো মুক্ত-স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রয় করে, যে তার মূল্য আদায় করে এবং যে ব্যক্তি অন্যকে নিজের কাজে নিযুক্ত করে পুরোপুরি কাজ আদায় করে নিল, কিন্তু তার মজুরি দিল না, ওরাই সেই তিনজন।’ (মিশকাত)

শ্রমিকদের প্রতি মালিক যাতে সহনশীল থাকে এবং তার ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে আল্লাহর নবী (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, ‘মজুর-চাকরদের অপরাধ ৭০ বার পর্যন্ত ক্ষমা করে দাও।’ (তিরমিজি)

শ্রমিকের মজুরি যথাসময়ে পরিশোধ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মজুরকে তার গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই মজুরি পরিশোধ করে দাও।’ (ইবনে মাজাহ)

ট্যাগ: ইসলাম
জকসুতে ভোট দিতে লাইনে শিক্ষার্থীরা, জরুরি সিন্ডিকেট সভায় প্…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচনে কোনো আসনেই কখনো পরাজিত হননি খালেদা জিয়া
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শেকৃবিতে সিন্ডিকেট সভা ঘিরে উত্তেজনা
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
‘আপসহীন’ খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য জীবন
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শেষ মুহূর্তে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন যারা
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫