উপাচার্যকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের স্মারকলিপি প্রদান © টিডিসি
পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি বাতিল ও নতুন করে নীতিমালা প্রনয়ণ করে, পুনরায় ভর্তি নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কার্যালয়ে যেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম, সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহ-সভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসানসহ অন্যরা।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে ন্যূনতম ৩.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে) সিজিপিএ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার এক সুস্পষ্ট নীলনকশা। অন্যদিকে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ভর্তির যোগ্যতা তুলনামূলকভাবে সহজতর রাখা হয়েছে। যেমন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স ও মাস্টার্সে ন্যূনতম ৩.০০, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ৩.০০- ৩.২৫ (ক্ষেত্র বিশেষে), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ৩.০০-৩.২৫ (ক্ষেত্র বিশেষে), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ৩.০০-৩.২৫ (ক্ষেত্র বিশেষে), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ৩.২৫-৩.৪০ (ক্ষেত্র বিশেষে), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ন্যূনতম ২.৫০।
এখানে স্পষ্ট দেখা যায়, দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ভর্তির যোগ্যতার মানদণ্ড হিসেবে ৩.৫০ নির্ধারণ করা হয়নি। অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক পার্থক্য বিবেচনা না করে অযৌক্তিকভাবে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি গবেষণার ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের উপর অযথা বৈষম্য চাপিয়ে দেওয়ার সামিল। একই সাথে আমরা দেখেছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নীতিমালায় নেই, সেখানে আবেদন ও প্রপোজালের মাধ্যমে ভর্তি করা হয়। তাদের সাথে সংহতি রেখে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
এসময় ৩ দফা দাবি জানান ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। দাবিগুলো হচ্ছে - পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার সাথে সমন্বয় করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করতে হবে এবং বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতি বাতিল করতে করে, নতুন নীতি প্রনয়ন এবং পুনরায় এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।