শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন © টিডিসি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, ওয়াই-ফাই সমস্যা, পানির সমস্যা, আবাসন সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে আবাসিক হলে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণ, হলে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ভর্তুকি বৃদ্ধি, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও ইন্টারনেট সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান তারা। এ ছাড়া আবাসিক হলে বিশুদ্ধ পানির জন্য নতুন ওয়াটার পাম্প স্থাপন, প্রাথমিক চিকিৎসার রুম, পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মেয়েদের হলে রান্নার চুলা ও হাই কমোড প্রতিস্থাপনসহ জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোও অবিলম্বে সমাধান করার দাবিও জানান তারা।
মানববন্ধনে আজাদ শিকদার বলেন, ‘আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি কোনো অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা বা নতুন কোনো দাবি আদায়ের জন্য নয়, বরং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও জীবনযাপনের মূল ভিত্তি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের আবাসিক হলগুলোতে আজ নানান সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই না আর কোনো শিক্ষার্থী নোংরা পানি খেয়ে অসুস্থ হোক, ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে পড়াশোনা ব্যাহত হোক কিংবা মানহীন খাবার খেয়ে অসুস্থ হোক। তাই এই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান এখনই করা জরুরি।’
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া তানজিম আলভী বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের হলে দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা। পানি লালচে কালার। এসব পানি ব্যবহার করে মেয়েদের চুল পড়ে যাচ্ছে। হল প্রভোস্টকে জানানোর পরেও কোন সমাধান হচ্ছে না। এমনকি প্রতিনিয়ত হলে খাবারের দাম বাড়লেও মান একদম নিম্নমানের। হলে যে ওয়াই-ফাই দেওয়া হয়েছে, সেই ওয়াই-ফাই সন্ধ্যার পর আর কাজ করে না। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই।’
ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, ‘নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতি তিনমাস পরপর শিক্ষার্থীদের সাথে আবাসিক হলে বসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বসেনি।’
হল প্রভোস্টদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত যে খাবার ও পানি খাচ্ছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করছে আপনারাও সেটা ব্যবহার করে দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন কতটুকু সমস্যা।’
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হলের ইন্টারনেট এবং ওয়াই-ফাই সংক্রান্ত কিছু সমস্যা ফেস করতেছে। আমরাও অবগত আছি। আমরা চেষ্টা করছি সমাধান করার। ছেলেদের হলের মাঝখানে একটি নতুন ওয়াটার প্লান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি হয়ে গেলে আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।’