বিএনপি নেতার বসতঘরে অগ্নিকাণ্ড © টিডিসি সম্পাদিত
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির এক নেতার বসতঘরে আগুনে পুড়ে শিশু আয়েশা আক্তার বিনতি (৮) নিহত ও তিনজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় চার দিন পর মামলা করা হয়েছে। যদিও ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে দগ্ধ বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহেদ ফারভেজ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেলাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়াও একই বিষয় দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ওয়াহিদ পারভেজ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগুনের ঘটনায় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হওয়া কতিপয় দুর্বৃত্ত সংঘবদ্ধ হয়ে মব সৃষ্টি করে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তথ্যটি সঠিক নয়।
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুনে মব বা দুর্বৃত্তের হামলার প্রমাণ মেলেনি’
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থলে কোনো দুর্বৃত্তকারী কিংবা কোনো মবের অস্তিত্বের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাও আগুনের উৎস বা আগুন লাগা বা লাগানোর কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কোনো তথ্য দিতে পারেন নাই। তবে আমরা গঠনাটি তদন্ত করছি আসলে আগুনের উৎস কোথায় এবং কীভাবে লেগেছি।
উল্লেখ, শুক্রবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে। ওই এলাকার বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেনের বসতঘরে আগুন লাগার ঘটনায় মেয়ে আয়েশা আক্তার বিনতি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে বেলাল হোসেন, তার দুই মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতি (১৭) ও সামিয়া আক্তার বিথি (১৪) দগ্ধ হন। এর মধ্যে স্মৃতির শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
অপরদিকে বিথির শরীরের প্রায় ২ শতাংশ পুড়ে গেছে। চিকিৎসা শেষে তিনি বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন।