যশোর শিক্ষা বোর্ড © সংগৃহীত
যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৫৮৯ কলেজে ৫৮ হাজার ৪৪১ আসন খালি রেখে চলছে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির পাঠদান। মোট ২ লাখ ২০ হাজার ১২৯ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৮ শিক্ষার্থী। শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর এসএম তৌহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কলেজ পরিদর্শক জানান, একাদশ শ্রেণিতে সর্বশেষ মাইগ্রেশনের ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৫ আগস্ট। ভর্তির শেষ সময় ছিল ১৫ আগস্ট। এ সময়ে ৫৮৯ কলেজে মোট ২ লাখ ২০ হাজার ১২৯টি আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৮ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৫৮ হাজার ৪৪১ আসন। আসন খালি রেখে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজে শুরু করা হয়েছে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম।
তিনি আরো জানান, বেশ কয়েকটি কলেজে নামমাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। সেইজন্য মূলত এত আসন ফাঁকা রয়েছ। তারমধ্যে শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজে ২ শিক্ষার্থী, মাইজপাড়া কলেজে ১, গোবরা মিত্র মহাবিদ্যালয়ে ১৮, ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজে ৭২, যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২, শৈলকুপা মহিলা কলেজে ৩, সরস্বতী সিকদার গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ৩৩, মীরদাউপুর কলেজে ৩৭, কেডিএ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৭, ছান্নির চক এল.সি. কলেজিয়েট স্কুলে ৫৬, কচুয়া কলেজে ৮৬, আশার আলো মঞ্জুর মহাবিদ্যালয়ে ৯৪, বি জে এম কলেজে ১০৮, এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৫০, হাটবোয়ালিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৩, ড. আফসার উদ্দিন কলেজে ৪৮ , বামন্দি নিশিপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৫ , বান্দা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে ৮৯, খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫, মহেশ্বরপাশা শহীদ জিয়া কলেজে ৪১, খারাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০, এ ম গফুর মডেল কলেজে ৪৪, ফতেপুর শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজে ৭৭, খুলনা নৌবাহিনীর অ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮৯, নিমতলা কলেজে ৩৮, আলমপুর বালিয়াপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৬, কে এস এম ঢাকা মিনাপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫০, মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজে ৩৮, খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৯, কপিলমুনি সহচারী বিদ্যা মন্দিরে ১১, শেরে-ই-বাংলা কলেজে ১৪৫, রংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৯৬, বসুন্দিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২৭, মুক্তিযোদ্ধা কলেজে ১৩৫, যশোর আমদাবাদ আদর্শ কলেজে ১০, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজে ৫৫, ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে ৭২, নুরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজে ৫২, রূপসা গার্লস কলেজে ৪৫, ফিলিপনগর মারিচা কলেজে ৫৬, দিগরাজ মহাবিদ্যালয়ে ১১৩, সোমশপুর আবু তালেব কলেজে ১০২, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে ৬৭ ও ফজর আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫৬ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর এস এম তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘অনেক কলেজে আসনের তুলনায় কম শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এ কারণে ৫০ হাজারের উপরে আসন শুন্য রয়েছে। আবার অনেকে শিক্ষার্থী নিশ্চয়ন না করার জন্য ভর্তি হতে পারেনি। অনেকে পছন্দের কলেজে চ্যান্স পায়নি সেইজন্য ভর্তি হয়নি। ২১ সেপ্টম্বর থেকে চতুর্থ ধাপের অনলাইনে ভর্তির আবেদন ও নিশ্চয়ন শুরু হবে। আশা করছি বাদপড়া শিক্ষার্থীরা শুন্য আসনগুলোতে ভর্তি হবে। চতুর্থধাপের আবেদনের পর শিক্ষার্থীরা হলে হলে এত ফাঁকা বা শুন্য আসন থাকবে না।‘