শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার স্মরণে ঢাবিতে আলোচনা সভা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২২, ১২:৪৯ AM , আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২২, ১২:৪৯ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলে শোকের মাস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ সকল শহিদ স্মরণে হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাত ৯ টায় স্যার এ এফ রহমান হল মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ ও স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী মোল্লা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় স্কলারশিপ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তৃতীয়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমদ হোসেন ১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, যার গর্জনে পাকিস্তান আর্মি মাথানত করেছে, যার গর্জনে পাকিস্তান আর্মি সালেন্ডার করেছে, যার গর্জনে আইয়ুব খানের পতন হয়েছে, যার গর্জনে ইয়াহিয়া খানের পতন হয়েছে, যার গর্জনে পাকিস্তানের পতন হয়েছে। সেই মহাপুরুষ টেলিফোন করছে, কিন্তু কেউ কথা বলছে না। সেদিন ২৮ টা বুলেটে বঙ্গবন্ধুর বুক ঝাঁঝরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সিড়ি দিয়ে গড়াতে গড়াতে মৃত্যু মুখে পতিত হলেন। যখন বঙ্গমাতা এসে দেখলেন বঙ্গবন্ধুর ডেড বডি। তখন তিনি চিৎকার করে বললেন— আমাকে মেরে ফেল, আমি আর বাচতে চাই না। এইযে বঙ্গমাতা জীবন দিয়ে দিলেন, তার সমস্ত পরিবার সেদিন জীবন দিলেন।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, যেখানে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সাহস করেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিজের মানুষের দ্বারাই খুন হলেন পরিবারসহ। পৃথিবীর অনেক রাজনৈতিক নেতাদের হত্যাকাণ্ড ও তাদের জীবনী পর্যালোচনা করেছি। আমি আশা করি তোমরাও পড়বে। কিন্তু এত জঘন্য হত্যা হয়েছে কোথাও হয়েছে বলে আমার গবেষণায় পাইনি। ছোট্ট শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করতে হলে কতটুকু পাষাণ হৃদয়ের হতে হয় এবং কত গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। বঙ্গবন্ধু কোনো রক্ত তারা জীবিত রাখতে চায়নি। কারণ একটাই বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা।
এসময় আর উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।