চবি ছাত্রী হেনস্তায় সরাসরি জড়িত ৬ জন কারা— জানাল র্যাব
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলেন আজিম, শাউন, বাবু ও মাসুদ। আজ শনিবার বেলা ১১টায় চাঁদগাও ক্যাম্প র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ এক ব্রিফিংয়ে জানান, এ ঘটনার মূলহোতা আজিম হোসেনসহ (ইতিহাস বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ ২০১৯-২০) চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৬ জন। মূলহোতা আজিম ছাড়া বাকিরা হলেন-সাইফুল, শাউন, বাবু, সাইফুল ও মাসুদ। বাকি দুইজন (সাইফুল-১ ও সাইফুল-২) পলাতক রয়েছে। আশা করছি, অচিরেই গ্রেফতার হবেন তারা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, জড়িতদের ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাকি ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকেন। তাদের বাবার চাকরিসূত্রে। এর মধ্যে ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেন- আজিম, বাবু ও সাইফুল (কোনজন এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি)। অর্থাৎ, বহিরাগত বা বাহিরের থেকে কেউ এসে এ ঘটনাটি ঘটায়নি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৭ জুলাই (রোববার) রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে ৬ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় তারা ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এর এক দিন পর বুধবার মামলা করেন হাটহাজারী থানায়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, যৌন নিপীড়নে জড়িতদের মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তিনজন স্থানীয় বহিরাগত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলেন, ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আজিম হোসাইন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের নুর হোসেন শাওন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নুরুল আবছার বাবু। বহিরাগতরা হলেন, মো. সাইফুল, হাটহাজারী কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাসুদ রানা এবং মো. সাইফুল। তাদের মধ্যে দুই সাইফুল ছাড়া বাকিরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।