‘বিছানা ভাগাভাগি করে থাক, না হয় হল ছাড়’
‘বিছানা ভাগাভাগি করে অন্য কক্ষে থাকতে পারলে থাক, তা না পারলে আগের মতো বাহিরে মেসে গিয়ে থাক’- বলে আবাসিক ছাত্রকে হল ছাড়াতে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতা বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৫ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সজিব কুমার নামের এক শিক্ষার্থী এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল রতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শামীম হোসেন।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী সজিব কুমার বলেন, আমি নবাব আব্দুল লতিফ হলের একজন আবাসিক ছাত্র। আমার কক্ষ নং-২০৪। আমি উক্ত রুমে বিগত ৪ মাস থেকে এক বড় ভাইয়ের সাথে বিছানা ভাগাভাগি করে ছিলাম। বিগত ১০ দিন আগে তিনি অন্যকক্ষে চলে যাওয়ায় এ কক্ষ স্থায়ীভাবে বরাদ্দ পেয়েছি। আমার আবাসিকতার কার্ড আছে।
তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শামীম হোসেন আমাকে ডেকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে। অন্যরুমে বিছানা ভাগাভাগি করে যদি থাকতে পারি তবে হলে থাকতে পারব, না হয় হল থেকে বের হয়ে গিয়ে আগের মতো মেসে থাকার কথা বলে। এমনকি হল থেকে বের না হলে তার অনুসারিরা আমাকে বের করে দিবে বলে হুমকি দেন। তারপর রাত ১১ টায় সেক্রেটারির অনুসারীরা রুমে এসে বিছানাপত্র নিচে ফেলে দেন এবং আমার সিটে অন্য একজন ছেলেকে উঠিয়ে দেন। এমতাবস্থায় নিজের সিট ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন এই শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ সোমবার
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেন নি হল শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শামীম হোসেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনাটি জেনেছি। তবে তাকে রুম থেকে বের করে দেয়া কিংবা বিছানাপত্র ছুড়ে ফেলার কোন ঘটনা ঘটে নি। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ।
তিনি বলেন, আগের প্রাধ্যক্ষ তাকে হল কার্ড করে দিয়েছে। তবে তাকে কোন কক্ষ নম্বর দেয়া হয়নি। যেহেতু তার হল কার্ড রয়েছে, তাই সে হলে থাকবে। অন্য কোন কক্ষে তার থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান প্রাধ্যক্ষ।
এরাআগে, গত ১৩ জুন আবাসিক হলগুলোতে সিট বাণিজ্যবন্ধ, হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হয়রানি, নিপীড়ন এবং শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।