ঢাবি ছাত্রের আত্মহত্যার দু’দিন পর এলো ৮ম সরকারি চাকরির খবর
গত ২৯ মে রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি মেসে আত্মহত্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।
সহকর্মীরা জানান, মৃত্যুর আগে মেহেদী নিদ্রাহীনতায় পার করেছেন রাতের পর রাত। এর ফলে বিষণ্ণতায় ভুগে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুটে মেহেদী লিখেছিলেন, ‘নিদ্রাহীনতা আর সহ্য করতে পারছি না।’
মেহেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স বিভাগের ১৯তম ব্যাচের প্রচণ্ড মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। শিক্ষার্থী অবস্থায় থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায়।
আরও পড়ুন: ৭টি সরকারি চাকরি পেয়েও আত্মহত্যা ঢাবি ছাত্রের
একটি-দুটি নয়। ঢাবি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে ৭টি সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন মেহেদী। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)-এর সহকারী পরিচালক, সহকারী সমাজসেবা অফিসার (বিসিএস, নন ক্যাডার), বঙ্গবন্ধু হাটেক পার্কে অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর, রুপালী ব্যাংককে সিনিয়ার অফিসার, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) জুনিয়ার অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার ও হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে জেনারেল ম্যানেজার পোস্টে চাকরির সুযোগ পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘নিদ্রাহীনতা আর সহ্য করতে পারছি না’
এদিকে, মেহেদীর আত্মহত্যার দু’দিন পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতো মোট ১৩০ জনকে নিয়োগ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে দুদক।
তালিকায় দেখা যায়, ১১১ নম্বরে মো: মেহেদী হাসানের নাম রয়েছে। তার দুদকের পরীক্ষার রোল নম্বর ছিল ২১০০৬৭৪৬। তালিকায় নামের পাশেই তার নিজ জেলা ফরিদুপর লেখা আছে।
তাছাড়া মেহেদী হাসান দুদকের গেজেটভুক্ত কর্মকর্তা হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এক কর্মকর্তা ও তার সহকর্মী।
আরও পড়ুন: মা মারা যাওয়ার পর চাকরি হওয়ায় হতাশা আরও বেড়েছিল মেহেদীর