‘চোরাবালির মতো ডিপ্রেশনে’ ভুগছিলেন রাবি ছাত্রী সাদিয়া
মাত্রাতিরিক্ত ডিপ্রেশন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী সাদিয়া আক্তার। মৃত সাদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভু-তত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আত্মহত্যার পর তার নিজ কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বিশমপুরে গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফারুক মিয়ার মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার (১০ মে) নিজ বাসায় এ আত্মহননের পথ বেঁছে নেন তিনি।
সাদিয়ার সহপাঠীদের ভাষ্য সাদিয়া অনেকদিন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। এদিকে সাদিয়ার মৃত্যুর পর নিজ কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে সাদিয়া লিখে গেছেন, ‘‘চোরাবালির মতো ডিপ্রেশন, বেড়েই যাচ্ছে, মুক্তির পথ নেই, গ্রাস করে নিচ্ছে জীবন, মেনে নিতে পারছি না।’’
আরও পড়ুন: ইয়ার ড্রপ ছিলো সাদিয়ার, কয়েকমাস ধরে ফেসবুকও ডিএকটিভ
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদে সবাই গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে আসার পর দুপুরের নিজ ঘর দরজা বন্ধ করে অবস্থান করেন সাদিয়া। পরে তাকে অনেক ডাকাডাকির করলেও দরজা না খোলায় তা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখা যায়।
এ অবস্থা দেখে তাকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল রেজা জানান, সাদিয়া স্বপরিবারে ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন। ঈদের আগে গ্রামের বাড়িতে আসেন তারা।
এদিকে সাদিয়ার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সহপাঠীরা। ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সোহেল কবির বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও হতাশাজনক। এভাবে আমাদের একজন শিক্ষার্থী চলে যাবে, তা ভাবতেও পারেনি।