শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন শেষে উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিভাগের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা, আমরা দূর দুরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসেছি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের উপর যেভাবে অতর্কিত হামলা হল এতে করে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। একটা সন্তান যেমন একজন মায়ের কোলকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করি ঠিক তেমনিভাবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে মায়ের কোলের মতো নিরাপদ মনে করি। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা চরমভাবে বিগ্ন হয়েছে। মায়ের কোলের উপরেই একজন সন্তান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দ্বন্দ্ব নিরসনে দফায় দফায় বৈঠক
বক্তারা আরো বলেন, আমরা এই গরমে রোজা রেখে মানববন্ধনে আসতে বাধ্য হয়েছি বলা চলে। কারণ আমরা নিরাপত্তা চাই। আমরা চাই না কোনোভাবেই যেন ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়। আমাদের নিরাপদ ক্যাম্পাস বিধানের দায়িত্ব কিন্তু প্রশাসনের। সর্বোপরি আমরা আজকের মানববন্ধন থেকে প্রশাসনের নিকট নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানাচ্ছি।
প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দিব্য ভট্টাচার্য বলেন, আমি সেদিন ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আসতেছিলাম। ওইদিন ক্যাম্পাসে কী হয়েছে না হয়েছে আমি কিছুই জানি না। রফিক ছাত্রাবাসের ওই জায়গায় আসার পর কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে অতর্কিত হামলা করে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। ওরা বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে বাঁশ, লাঠি রড ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার সিটি স্কেন করতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল ক্রসিং এলাকায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঠিকমতো না দেখে সিএনজি ঘুরানোকে কেন্দ্র করে আরফাত রায়হান নামে এক শিক্ষার্থীর সাথে সিএনজিওয়ালার তর্কাতর্কি হওয়া থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেখলেই এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এসব হামলায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।