প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজ আদায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে যোহরের সালাত আদায় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরের পর নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানের এক পাশে সালাত আদায় করেন ছাত্রীরা।
এর আগে, ছেলেদের নামাজের স্থানের এক পাশে পর্দা দিয়ে ছাত্রীরা তাদের জন্য নামাজের স্থান তৈরি করে নেন। পরে টিএসসির পরিচালক সৈয়দ আলী আকবরসহ অন্য কর্মকর্তারা ছাত্রীদের নামাজ পড়তে বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে সেসময় উত্তেজনা দেখা দেয়।
সৈয়দ আলী আকবর বলেন, টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজ পড়ার বিষয়ে প্রশাসন এখনো অনুমতি দেয়নি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, টিএসসিতে ছেলেদের জন্য নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও মেয়েদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ বিভিন্ন কর্মসূচিসহ নানাবিধ কারণে নারী শিক্ষার্থীরাও টিএসসিতে অবস্থান করেন। এছাড়াও রমজান মাসে টিএসসিভিত্তিক সংগঠনসমূহ এবং বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি ইফতার কর্মসূচি দিয়ে থাকে। কিন্তু ইফতারের পরে নামাজের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক নারী শিক্ষার্থী এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হয়।
আরও পড়ুন: টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজ আদায়ে প্রশাসনের বাধা
এদিকে ছাত্রীদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টিএসসি। ঘটনাস্থলে টিএসসির উপদেষ্টা ড. শিকদার মনোয়ার মুর্শেদের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর, উপ-পরিচালক ফারজানা বাসারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ দিনের সময় চাওয়া হলে তা দিতে আপত্তি জানায় শিক্ষার্থীরা।
টিএসসির উপদেষ্টা ড. শিকদার মনোয়ার মুর্শেদ বলেন, তারা এখানে নিয়মের বাইরে গিয়ে জায়গা নির্ধারণ করে বসেছে। আমরা তাদেরকে অফিসিয়াল প্রসেসের জন্য ১০ দিনের সময় চেয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কোন কথা শুনছে না। এক্ষেত্রে আমরা এখন এখান থেকে চলে যাবো। তারা এরপর এখানে কি করবে তার দায়-দায়িত্ব আমরা নিতে পারবো না।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ছাত্রীদের একটি পক্ষ টিএসসিতে ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীদের জন্যও নামাজের স্থানের দাবি জানিয়ে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দেয়। ভিসি ছাত্রীদের জন্য নামাজের স্থানের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাসও দেন। এর কিছুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদিকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে অভিযোগ এনে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।