রাবিতে ‘সেকেন্ড টাইম’ থাকবে কিনা, জানা যাবে কাল
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচ্য সূচিতে থাকলে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকবে কিনা এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি সুযোগ সংক্রান্ত যে খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি ‘গুজব’ বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে, ‘‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সেকেন্ড টাইম’ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে’’-এ সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য একাধিক ভুঁইফোড় অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর ধীরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত হয়নি। চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বাতিলে বাড়তি টাকা গুনছে শিক্ষার্থীরা
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত কোনো মিটিং-ই এখনো হয়নি। ভর্তি পরীক্ষায় ‘রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ রয়েছে’- এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের এখন পর্যন্ত হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। এর আগের বছরগুলোতে প্রথমবার সুযোগ বঞ্চিত ভর্তিচ্ছুরা দ্বিতীয়বারও ভর্তি পরীক্ষার দিতে পারতেন। ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধের পর থেকে প্রায় প্রতিবছর ভর্তিচ্ছুদের একটি অংশ এ দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন।
মো. সংগ্রাম হোসেন নামে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করে আবার দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দেওয়া হোক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে, অথচ আমরা এখানে বৈষম্যের শিকার। রাবি প্রশাসনের কাছে আমরা দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবি জানিয়েছি, কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।