ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে সাবেক ভিসি নিয়েছেন প্রায় তিন লাখ টাকা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে দুই লাখ ৮৬ হাজার টাকা সম্মানি নিয়েছেন সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য এ সম্মানি গ্রহণ করলেও তিনি পুরো সময়টাই বাসভবনে কাটিয়ে ছিলেন। দুই প্রো-ভিসি দুই লাখ ৮১ হাজার টাকা করে পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা মতে, ভর্তি ফরম বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৪০ শতাংশ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা রাখতে হয়। বাকি ৬০ শতাংশ অর্থ দিয়ে পরীক্ষার সব আয়োজনের ব্যয় নির্বাহ করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সেই নিয়ম মানা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করছে ইউজিসি।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দশ ইউনিটে ১ হাজার ৮৮৯ সিটের বিপরীতে মোট আবেদন জমা পড়ে তিন লাখ আট হাজার ৬০৬টি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয় হয়েছে ১৭ কোটি পাঁচ লাখ ১২শ টাকা। এই অর্থ থেকে সম্মানি বাবদ ৬৭৬ জনকে মোট তিন কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আগের শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আয়ের আট কোটি টাকার হিসাব পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে তদন্ত করছে ইউজিসি।
আরও পড়ুন- নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়ে জাবি শিক্ষক বললেন ‘খেলা হবে’
জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষক, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের শিফট প্রতি তিন হাজার টাকা এবং জাহাঙ্গীরনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের জন্য শিফট প্রতি ১৫০০ টাকা হারে দেওয়ার আদেশ রয়েছে। সিন্ডিকেটের অনুমোদনের পর ৪৬ শিফটের জন্য যথাক্রমে সর্বোচ্চ এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও ৬৯ হাজার টাকা করে পেয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা। ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য এখন পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে ৬৭৬ জন সম্মানি নিয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে ভিসি (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক নূরুল আলমকে কল দিলেও পাওয়া যায়নি।