ব্যানারের ছবি বিতর্কে পণ্ড ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা, পরে সংশোধন

ব্যানারের ছবি নিয়ে পণ্ড ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা, পরে সংশোধন
ব্যানারের ছবি নিয়ে পণ্ড ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা, পরে সংশোধন  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল সম্মেলন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি মিলনায়তনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা ব্যানারের ছবি নিয়ে স্লোগান দেয়া শুরু করেন।

ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে টিএসসিসি মিলনায়নে কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তত ৬ জন প্রতিনিধিসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও রাসিক মেয়রের কন্যা ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্নাসহ বর্ধিত সভা শুরু হয়।

এসময় সভার ব্যানারে জাতীয় ৪ নেতার ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় বর্তমান কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ হল সম্মেলন করতে আগ্রহীদের একটি অংশ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন চাওয়া অপর অংশের। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মিলনায়তনের ভেতরে থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ঘটনার এক পর্যায়ে পণ্ড হয়ে যায় সভা। মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যান আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। পরে নতুন করে ব্যানার করে আনার পর পুনরায় সভা শুরু করতে গেলে বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ১০ মিনিট বাইরে অবস্থান নিয়ে সভাস্থল মিলনায়তনের ফটকগুলো লাগিয়ে দিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। ঘটনার এক পর্যায়ে মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যান কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সহ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন চায় রাবি ছাত্রলীগ, ১৭ নির্দেশনা প্রত্যাহার দাবি

এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, মেজবাহুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হক রাজু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দূর্জয়সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে সহ-সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম বলেন, আমাদের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। যার ফলে আমরা শহীদ শুখরঞ্জন সমাদ্দার টিএসসিসিতে আমরা সবাই যোগদান করি। সেখানে যোগদান করে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত হই। অতীতে সব প্রোগ্রামের ব্যানারে আমাদের আবেগের সাথে জড়িত জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ছবি রাখা হলেও আজকের অনুষ্ঠানে তার ছবি রাখা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করি আজকের এই সভায় তার ছবি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচ এম কামরুজ্জামান লিটনের ছবি সেখানে সংযোজিত নেই। এই দুটি নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আবেগের সাথে জড়িত।

‘‘এই ঘটনা দেখে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এই অবস্থা বিরাজ করলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সেখান থেকে চলে যান। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার দিচ্ছি। আমরা মনে করি এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাদের এটার জন্য তাদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ব্যানারের ছবির বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করেই তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে আমাদের মনে হয়েছে আমাদের স্থানীয় অভিভাবকদের ছবি ব্যানারে দেয়া উচিত ছিল তাই নতুন করে আবার ব্যানার তৈরি করে সভা শেষ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ