সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেবে রাবি
করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও এখনই বন্ধের দিকে যাচ্ছে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চলবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বিভাগীয় সভাপতি, ডিন এবং ইনস্টিটিউট পরিচালকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রশাসনের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার দাবি জানায়। গত দুদিনে রাবিতে ৬৮জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নমুনা পরীক্ষায় ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: এনটিআরসিএর ভুয়া সুপারিশপত্র ফেসবুকে
সভা শেষে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপাতত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হচ্ছে না। আমরা অনলাইনে নয়, সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু রাখছি৷ তবে অনলাইনে ক্লাস নিতে চাইলে সেটি বিভাগের একাডেমিক কমিটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। চলমান পরীক্ষাগুলো চলবে এবং সেগুলো সশরীরেই হবে।’
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সশরীরে ক্লাস বন্ধের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষক সমিতির পাঠানোর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন বিভাগে ইতিমধ্যে নতুন বর্ষের ক্লাসও শুরু হওয়ার পাশাপাশি অনেক বিভাগে পরীক্ষাও চলছে। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আবারও বৃদ্ধি পেলেও অনেকের মধ্যেই এখনো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনীহা লক্ষণীয়।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের অপসারণে কোনো তদন্ত কমিটি চান না আন্দোলনকারীরা
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বেশকিছু পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সশরীরে ক্লাসের পরিবর্তে দ্রুত অনলাইনে ক্লাস গ্রহণের ব্যবস্থা করা; বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত সব ধরনের দোকানপাটে করোনার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালনের উদ্যোগ গ্রহণ; বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যাম্পাসে সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ; বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে করোনার চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা; বিশেষ করে প্রয়োজনীয়সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার নিশ্চিত করতে হবে।