১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:১৮

এবার কাওয়ালি গান করবে ছাত্রলীগ

কাওয়ালি গানের আসর  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাওয়ালি গানের আসরে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগের পর এবার তারাই এই গানের উৎসবের আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানা গেছে। তবে আয়োজনের দিনক্ষণ এখনও সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।

এ বিষয়ে এক গণমাধ্যমকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তিনি বলেন, ‘কেবল কাওয়ালি নয়, আউল-বাউল, লালন, জারি-সারি, মুর্শিদি সব ধরনের গান নিয়ে আমরা কর্মসূচির আয়োজন করতে চাই। আর সেটির সময়সূচি আমরা জানিয়ে দেব।’

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালি ব্যান্ড ‘সিলসিলা’ ও শিক্ষার্থীদের একটি অংশের উদ্যোগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কাউয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একদল ছাত্রের হামলায় এই অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ ব্যাংকের অফিসার সেজে ঢাবি ছাত্রীকে বিয়ে, আসলে কফি ব্যবসায়ী

আয়োজকদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে ছাত্রলীগ কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছেন।

সে সময়ই অভিযোগ উঠে, উর্দু গান বলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই এই হামলা করেছেন। তবে সাদ্দাম হোসেন এই হামলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে বিভিন্ন মতবিরোধ ছিল। কোন তরিকায় প্রোগ্রামটা হবে, মেয়েরা উপস্থিত হতে পারবে কি না, হালাল, নাকি হারাম সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বে আয়োজকদের মধ্যে পূর্ব থেকে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হামজা রহমান অন্তর বলেন, ‘ছাত্রলীগ অতীতে অনেকবার কাওয়ালি আসরের আয়োজন করেছে। আমরা জানতে পেরেছি সামনেও ছাত্রলীগ এ ধরনের আসর করবে। একজন কর্মী হিসেবে আমি এটিকে স্বাগত জানাই। ছাত্রলীগের হাত ধরেই এ ধরনের প্রগতিশীলতা চর্চার স্রোতধারা এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। 

বুধবারের হামলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সিলসিলা ব্র্যান্ডের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে কাওয়ালি পরিবেশন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা এই আয়োজন চলে। আয়োজনে কাওয়ালি গান ছাড়াও র‍্যাপ গান এবং নজরুল সঙ্গিতও গাওয়া হয়। এই আয়োজনে কোনো হাঙ্গামা হয়নি।

আয়োজনের বিষয়ে আয়োজকদের অন্যতম সালেহ উদ্দীন সিফাত বলেন, ‘গতকালের হামলার প্রতিবাদে আজকে আমাদের এই আয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি সংস্কৃতির কোনো বাউন্ডারি নেই। সংস্কৃতির কোনো ম্যাপ থাকতে পারে না। যারা সংস্কৃতিতে রুখে দিতে চায়, গান, সুরকে রুখে দিতে চায় তারা সাংস্কৃতিক দস্যু। তাদেরকে আমরা সংস্কৃতির মাধ্যমেই প্রতিহত করব।’