ঢাবির ডিন নির্বাচনে ২ অনুষদে প্রার্থীই নেই বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৪৬ PM , আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৪৬ PM
আগামী ১৩ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০টি অনুষদের ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।
তবে একটি অনুষদে নীল দলের দুজন প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ৮টি অনুষদে প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও ২টি অনুষদে কোনো প্রার্থীই খুঁজে পায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবির ডিন নির্বাচন ১৩ জানুয়ারি, নীল দলের প্রার্থী যারা
আজ রবিবার (২ জানুয়ারি) ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নীল ও সাদা দলের শিক্ষকেরা এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে।
সাদা দলের প্রার্থী যারা
কলা অনুষদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আমানউল্লাহ, বিজ্ঞান অনুষদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এমরান কাইয়ুম, জীববিজ্ঞান অনুষদে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, ফার্মেসি অনুষদে ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহ এমরান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হায়দার আলী এবং চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল রতন সাদা দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে আইন এবং আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদে সাদা দলের কোনো প্রার্থী নেই।
দুই অনুষদে কোন প্রার্থী নেই কেন, এ প্রশ্নের জবাবে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, আইন এবং আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদে আমাদের প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা রাজি হননি।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের ভোটার কমে গেছে। নতুন ভোটারদের দলীয়ভাবে চাপ দেওয়া হয়। এমন নানা কারণ এর জন্য দায়ী।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ডিন নির্বাচন হয়৷ সেখানে ১০টি অনুষদের ৯টিতে জেতে নীল দল৷ ওই ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জুন৷ পরে করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন না হওয়ায় ১ জুলাই থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে নিয়োগ দেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান৷