হাসান আজিজুল হকের নামে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর নামকরণ দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে দর্শন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সভা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে দর্শন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সভা  © টিডিসি ফটো

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের প্রয়াণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রখ্যাত এই কথাসাহিত্যিকের নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী নামকরণ করার দাবি জানানো হয়।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে দর্শন বিভাগের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: এক নজরে হাসান আজিজুল হকের বর্ণাঢ্য জীবনী

দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম ও চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া।

আরও পড়ুন: রাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সমাহিত হলেন কথাসাহিত্যিক আজিজুল হক

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, একজন মানবিক মানুষ কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। হাসান আজিজুল হকের মতো মানুষরা কখন মৃত হতে পারে না। তিনি সবার হৃদয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন: হাসান আজিজুল হক: সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় কিংবদন্তি

হাসান আজিজুল হকের মতো মানুষরা জাতির জন্য অনুপ্রেরণা। কেননা তিনি সর্বদা প্রান্তিক ও মজলুম মানুষের পাশে ছিলেন। মজলুম মানুষের জন্য সর্বদা তাঁর লেখনি জারি ছিল। মহৎ এই মানুষটির স্মরণে শোকসভার আয়োজন করায় দর্শন বিভাগের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উপাচার্য।

দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মহেন্দ্রনাথ অধিকারী কথাসাহিত্যিকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ১৯৭৩ সালের আগে হাসান আজিজুল হককে সেটা আমরা জানতাম না। কিন্তু ১৯৭৩ সালে দর্শন বিভাগে নিয়োগের মাধ্যমে তাঁর সাথে আমাদের পথ চলা। ফলে হাসান আজিজুল হক থেকে তিনি আমাদের কাছে হাসান ভাই হয়ে গেলেন।

কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হাসান বলেন, বাবা অত্যন্ত সময় সচেতন মানুষ ছিলেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যাপনা ও সংস্কৃতি চর্চা করতেন। তিনি অত্যন্ত সাধারণ জীবন অতিবাহিত করেছেন।

সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক শামীমা আক্তার বলেন, হাসান আজিজুল হক ছিলেন দর্শন বিভাগের এক নক্ষত্র। যার অভাব হয়তো কখনই পূরণ হবে না। তিনি ছিলেন দর্শন বিভাগের অভিভাবক। অত্যন্ত কোলম ও অতিথিপ্রিয় একজন মানুষ ছিলেন এই প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। যিনি সর্বদা দর্শন বিভাগকে পরিবারের মতো দেখেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর নামকরণ হাসান আজিজুল হকের নামে করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, হাসান আজিজুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব। তাঁর সৃষ্টিশীল শিল্পকর্ম এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গর্বিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, তার মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর পাশে মরহুমের সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় দর্শন বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে। একই সাথে দর্শন বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর নামকরণ প্রফেসর হাসান আজিজুল হকের নামে করার জন্য দাবি জানাই।

সভায় দর্শন বিভাগের শিক্ষক তাসনিম নাজিরা রিদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গনিত বিভাগের প্রবীন অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার, বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক জুলফিকার মতিন ও দর্শন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আক্তার আলী প্রমূখ।


সর্বশেষ সংবাদ