১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:৫৭

শতবর্ষ পালনে উদাসীন ছাত্রসংগঠনগুলো

লোগো  © সংগৃহীত

শতবর্ষ পালন করছে দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্ণাঢ্য আয়োজনে শতবর্ষের পাশাপাশি স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীরও নানা কর্মসূচি পালন করছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বড় দুই ছাত্রসংগঠন শতবর্ষ উদযাপনে উদাসীন। তাদের কোনো কর্মসূচি ছিলো না।

শিক্ষায় অবদানের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অবদানও কম নয়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল জাতীয় সংকট উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় সব ছাত্রসংগঠনের জন্ম এ ক্যাম্পাসে হলেও শতবর্ষে তাদের কোনো আয়োজন না থাকায় হতাশ সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে ছাত্রসংগঠনগুলো নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে। শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে তাদের কথা বলার সময় নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য বিষয়গুলো তাদের কারণেই নষ্ট হয়। তাই তাদের কাছে প্রত্যাশার জায়গাও অনেক কম।  

আরও পড়ুন-মানসম্মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার্থীরা কী ভাবছেন?

শতবর্ষের কর্মসূচি পালন করা দায়বদ্ধতার অংশ জানিয়ে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম। এখনো কোনো কর্মসূচি হাতে নেয়া হয় নি। আমরা আজকেই সিদ্ধান্ত নিবো।

ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছিলাম এ ব্যাপারে। তারা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে প্রোগ্রাম হবে সেটাতেই অংশগ্রহণ করো। তাই আলাদা করে কোনো কর্মসূচির আয়োজন করিনি। 

তবে আলাদা করে কর্মসূচি থাকা উচিত ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ঠিকমত কাজকর্ম করতে পারি না। আমাদের নেত্রী অসুস্থ।

আরও পড়ুন- জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌবরগাঁথা নিয়ে শতবর্ষ পাড়ি দিল ঢাবি

এদিকে স্বল্প পরিসরে দুই/একটি কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ইউনিয়ন। বাকী ছাত্র সংগঠনগুলোও কোনো কর্মসূচি পালন করে নি। শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দুইটি প্রকাশনা বের করার কথা জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন। তিনি বলেন, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। ইতোমধ্যে এর পুরস্কার বিতরণীও হয়ে গেছে। সামনে আরও কয়েকটা কর্মসূচি হাতে আছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন- শতবর্ষ উদযাপনে বর্ণিল সাজে ঢাবি

ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগিব নাঈম বলেন, গত ২ ডিসেম্বর একটি সমাবেশ করেছি। সমাবেশ থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা, শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া ও সমস্যা নিয়ে সাত দফা দাবি পেশ করেছি। আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে একটি চিত্র প্রদর্শনী করা হবে। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বজায় রাখতে কাজ করে গেছেন এবং করে যাচ্ছেন তাদেরকে নিয়েই মূলত এই চিত্র প্রদর্শনী।