দেশি-বিদেশি জার্নাল সংকটে জাবির গ্রন্থাগার, ব্যহত হচ্ছে গবেষণা
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৭ AM , আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৭ AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে দেখা মিলছে না দেশি-বিদেশি জার্নালের কোনও কপি। ফলে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন এসব জার্নালের উপকারিতা থেকে। এতে শিক্ষার্থীদের গবেষণায় দারুণভাবে প্রভাব পড়ছে।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ঘুরে দেখা যায়, জার্নাল রাখার শেলফগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। সেখানে ২০০৭ সালের পর থেকে দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক কোন জার্নাল পাওয়া যায়নি।
জার্নাল সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রন্থাগারের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি জার্নালের কপি আসছে না। শিক্ষার্থীরা জার্নালের খোঁজে আসলেও তাদের খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মুহাম্মদ হানিফ আলী বলেন, লাইব্রেরীর দায়িত্বে নতুন এসেছি। অতীতের জার্নালের বিষয়ে জানা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের মধ্যে থেকে দ্রুততার সাথে এসব বিষয় সমাধানও করা সম্ভব হয় না। এছাড়া বাজেটের সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করাও সম্ভব হচ্ছে না।
গবেষণারত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সবসময় বিদেশি জার্নালগুলোতে নজর রাখতে হয়। হাতের কাছে জার্নাল না থাকায় গবেষণায় রেফারেন্স হিসেবে গুরুত্বপূর্ন লাইন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। তাই অনলাইনের উপর ভরসা করে থাকি। কিন্তু অনলাইনে অনেক জার্নাল পাওয়া যায় না। আবার অনেক জার্নাল ডলারে পেমেন্ট দিয়ে দেখতে হয়। যা শিক্ষার্থী হিসেবে ব্যয় করা কষ্টকর।
শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, কী কারণে জার্নাল আসে না এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভালো বলতে পারবে। একসময় বিদেশি জার্নাল নিয়মিত আসতো। বর্তমানে জার্নাল না থাকার কারণ হতে পারে অনলাইন একসেসের সুবিধা। কিন্তু লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে হার্ডকপি আনা উচিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, সারা বিশ্ব শিক্ষা, গবেষণায় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সাফলতার বিষয়গুলো জার্নালে ফুটে ওঠে। কিন্তু লাইব্রেরিতে জার্নাল না থাকায় শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে জানতে পারছে না। ফলে বিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া উচিত।
অনলাইনের বিষয়ে তিনি বলেন, সবকিছু তো অনলাইনে পর্যাপ্ত না। আবার অনেক জার্নাল আছে যেগুলো পড়তে টাকা লাগে। বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালগুলো পড়তে সাবস্ক্রিপশন কিনতে হচ্ছে । অতীতে এর ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে লাইব্রেরিতে এর কোন ব্যবস্থা নেই।