০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:০৮

চবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: কমিটির সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়া এক শিক্ষার্থীর জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘ডি’ ইউনিটে একই পন্থায় পাস করা দুই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর নাম। এ ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি চবি কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (৫ ডিসেম্বর) চবি উপাচার্যের দফতরে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির ২৮তম সভায়ও বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত ছিল না। ওই সভায় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পছন্দক্রম (সাবজেক্ট চয়েজ) পূরণের সময়সীমা ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর বিষয় নির্বাচন ও ভর্তি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক নিয়মে হবে কিনা, সেটিও এখন বড় প্রশ্ন। 

আরও পড়ুন: চবির ‘সাবজেক্ট চয়েজ’ পূরণের সময়সীমা বেড়েছে

তথ্যমতে, গত ১ ডিসেম্বর জাবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকারের সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা কামাল নামে একজনকে আটক করে জাবি কর্তৃপক্ষ।পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, একই উপায়ে তার দুই বন্ধু ফরহাদ ও আশিক জালিয়াতির মাধ্যমে চবির ‘ডি’ ইউনিটে পাস করেছেন। মেধাতালিকায় যাদের স্থান ৭৯তম ও ২৪৯তম । তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীমের মাধ্যমে এ জালিয়াতি করেছেন। ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে মোস্তফা কামাল নিজেও একইভাবে জাবির ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন।

এদিকে, আজকের সভার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চবির ‘ডি’ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ভর্তি কমিটির আজকের সভায় এটি এজেন্ডাভুক্ত ছিল না। তবে আমরা আগেই ভর্তি কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আপাতত ভর্তি প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলবে।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগটি সত্য কিনা সেটাও দেখার বিষয়। এমনকি কেউ যদি ভর্তি হয়েও যায়, এরপর কোনো অভিযোগ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের।