ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবি জোরালো হচ্ছে

ভর্তিচ্ছু ও ঢাবি লোগো
ভর্তিচ্ছু ও ঢাবি লোগো  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে আবারও সক্রিয় হচ্ছেন ভর্তিচ্ছুরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবি জানাচ্ছেন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম না রাখার বড় কারণ ছিল ঢাকায় অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীর চাপ না নিতে পারা। তবে করোনার কারণে এ বছর বিভাগীয় শহরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের যে চাপের কথা বলা হয়েছিল সেটি এখন আর নেই।

তারা বলছেন, যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পায় না তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পাওয়ার আশায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মাথায় রেখে যুগোপযোগী বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে চাওয়াটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মতো নম্বর কর্তন করার বিধান রেখে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে। এছাড়া যারা প্রথমবারেই চান্স পেয়ে ভর্তি আছে, তারা আর পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন শর্ত দিয়েও ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

এ প্রসঙ্গে রিয়ানা ইসলাম নামে এক ভর্তিচ্ছু জানান, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন প্রতিটি শিক্ষার্থীর। সেখানে একবার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিয়ে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। ফার্স্ট টাইমাররা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য মেডিকেলের মতো ৫ নম্বর মাইনাস করে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে । অথবা সেকেন্ডে টাইমারদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সিট বরাদ্দ করে দিতে পারে।

আবদুল্লাহ আল মামুন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এদেশে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরাও আপিলের জন্য ‘সেকেন্ড চান্স’ পায়। তাহলে, আমরা ছাত্ররা কেন সুযোগ পাব না দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়ার জন্য । যেকোনো শর্তে আমরা সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ চাই ।

এদিকে ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছেন। ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবি না মানলে সবাই মিলে আন্দোলনে করাসহ নানা কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে গ্রুপে জানানো হয়েছে।।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখলে অনেক মেধাবী ছাত্র ঢাবিতে পড়ার সুযোগ পাবেন না- এ ধারণা থেকে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাবি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ঢাবির এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা তখন আন্দোলন করেছিলেন। এছাড়া ঢাবি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ জন অভিভাবক আদালতে রিটও করেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ