জাবিতে মশাল মিছিল

সেপ্টেম্বরে হল-ক্যাম্পাস না খুললে তালা ভাঙার ঘোষণা

হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায়  ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী রাকিবুল রনি বলেন, উপাচার্য কোথাও বলেছেন ১৫ অক্টোবর এর পর হল খুলে দেওয়া হবে, আবার কোথাও শিক্ষার্থীদেরকে ১৫ দিন ধৈর্য ধরতে বলেছেন। আমাদের প্রথম কর্মসূচি ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর, তখন আমরা ১৫ দিন সময় দিয়েছিলাম।

রনি বলেন, ‘‘এখন শুধু এ কথাই বলতে চাই, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। হল না খোলা হলে আগামী ১ অক্টোবরে তালা ভেঙে হলে হলে ওঠা হবে। এর জন্য কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।’’

এর আগে, এদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে মশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরঙ্গী মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী শোভন রহমান বলেন, আমাদের দাবি অত্যন্ত স্পষ্ট। আর সেই দাবি হচ্ছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে আর একদিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের বাইরে থাকতে চাই না।

সমাবেশে অংশ নিয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী টিকার বাইরে আছে তাদের টিকা দিতে একদিনও সময় লাগবে না। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে কোনো টালবাহানা শিক্ষার্থীরা মানবে না।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ অনিন্দ্যের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম রিহান। এসময় দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন তারা।

এদিকে, এদিন সকালে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হকের সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যুক্ত হন। এ সময় তিনি আগামী ২৯ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে দ্রুত হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস দেন।

তবে এর আগে, আগামী ১৫ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়া হবে বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটে দুটি মন্ত্রণালয়ের সচিব রয়েছেন। শনিবার ছাড়া অন্যদিন মিটিং নিলে তারা থাকতে পারেন না। যেহেতু এই শনিবার তারা থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন, তাই এটি পিছিয়ে পরের সপ্তাহে নেয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ