ঢাবি খুলবে অক্টোবরেই
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাইলে এদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খুলে দিতে পারবে বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও বন্ধই থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাস খোলা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রতিক্রিয়া ঢাবি উপাচার্য জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তসাপেক্ষে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে যে সিদ্ধান্ত প্রভোস্ট কমিটির সভায় নেওয়া হয়েছিলো, সে রোডম্যাপ অনুযায়ী খোলা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
পড়ুন: কতজন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে, তথ্য চেয়েছে ঢাবি
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভার সুপারিশের আলোকে বুধবার (২৫ আগস্ট) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির এক সভায় আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আমরা একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলাম। সে রোডম্যাপ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলা হবে। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।’’
ঢাবির পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির সব শিক্ষার্থীকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর এবং মধ্য নভেম্বরে ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের জন্য হল খুলে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বাছির জানিয়েছেন, হল খোলার পূর্ব শর্ত হলো ভ্যাকসিনেশন। এখন পর্যন্ত কত শতাংশ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিয়েছে সে তথ্য আমরা এখনও পাইনি। আমরা প্রথমে সেটির দিকে নজর দিচ্ছি। সকলের ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হলে এবং করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের হলে তোলা হবে। পরে মধ্য নভেম্বরের মধ্যে তারা তাদের ক্লাস পরীক্ষা শেষ করে চলে যাবে।