‘সংবাদপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিগাঁথা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ডুজা’র

'সংবাদপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিগাঁথা' শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
'সংবাদপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিগাঁথা' শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন   © টিডিসি ছবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ ও ঐতিহাসিক ছবি নিয়ে 'সংবাদপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিগাঁথা' শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

আজ (১৫ আগস্ট) সকালে টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দিনব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতাপূর্ব ও উত্তরকালে বাংলাদেশি ও বিদেশি পত্রিকাগুলোর ভূমিকা তুলে ধরা হয়।

প্রদর্শনীতে তৎকালীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন সচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে প্রায় ৪৫ টি আলোকচিত্র স্থান পায়।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখে বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী পালন ও তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে আলোকচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে যা একটি প্রাতিষ্ঠানিক বিবৃতি ও দায়িত্ববোধের যায়গা। সবাই এক কাজ করবে সেটি নয়। যে ব্যক্তি যে পেশায় বা কাজে নিয়োজিত, সেই কাজের প্রতি যখন কেউ বস্তুনিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ থাকে এবং সেই কাজটিকে যখন পছন্দ করে তখন সেই কাজের মাধ্যমে কোনো মহৎ কাজ করতে পারে। সেটি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন হোক বা কোনো দিবস উদযাপন হোক।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাহাদত দিবসে সাংবাদিক সমিতি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রকাশিত ছবি, বিভিন্ন পোস্টার,বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিবছর দিবস পালন করে। যেটির মাধ্যমে ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ও তথ্যের আদান প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি বিভিন্ন শিরোনাম, পেপার কাটিং দেখে নিজেই অনেক সময় শিখি। বঙ্গবন্ধুর এসকল ব্যতিক্রম ধর্মী কর্মপ্রয়াসের মাধ্যমে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদনের মাধ্যমে অন্যদেরও যারা ভিন্ন পেশায় যুক্ত আছে তাদের অনুপ্রেরণা দেবে।

আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বিভিন্ন পোস্টার,আলোকচিত্রের শিরোনাম পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রত্যাশা করব এখানে যেসব পোস্টার সমূহ দেখবো,আলোকচিত্রের শিরোনাম পড়ব এবং মূলত এগুলোই আমাদেরকে ইতিহাসের শিক্ষা দেবে। যা থেকে আমরা পরবর্তী দিকনির্দেশনা গ্রহণ করতে পারবো। এবং সেটিই হবে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ।

এ সময় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, সহকারি প্রক্টর ড. মুহম্মদ আবদুর রহিম, ডুজার সভাপতি মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবিরসহ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদি হাসান বলেন, আমরা ডুজার পক্ষ থেকে প্রতি বছর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকি।

ডুজার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবির বলেন, শোকদিবস স্মরণে সাংবাদিক সমিতি প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজন করে। বিশেষ করে আমরা বঙ্গবন্ধুর গণমাধ্যম কেন্দ্রিক স্মৃতিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। যাতে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়।


সর্বশেষ সংবাদ