রাবি ভিসি প্রকৃত আওয়ামী লীগ কিনা, ডিএনএ টেস্টের দাবি ছাত্রলীগ নেতার

'এ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী' ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন
'এ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী' ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা প্রকৃত আওয়ামী লীগ কিনা সেটি প্রমাণের জন্য ডিএনএ টেস্টের দাবি জানিয়েছেন ওমর ফারুক ফারদিন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। ওমর ফারুক রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সাবেক উপাচার্য আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিনে দেয়া নিয়োগে উচ্চমান সহকারী হিসেবে তিনি নিয়োগ পেয়েছেন। সোমবার (২৭ জুন) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে 'এ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী' ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।

নিয়োগপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় রাবিতে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. রাসেল বলেন, 'আমরা এখনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে দেব না। আমাদের চাকরিতে পদায়নের সুযোগ না দিলে সবকিছু অচল করে দেয়া হবে।'

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান সুমন বলেন, আমরা জামাত শিবিরের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করেছি। সাবেক উপাচার্য আমাদেরকে চাকরি দিয়ে গেছেন। অথচ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, সেই চাকরিতে আমাদের পদায়নে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। কোন ক্ষমতাবলে আগুন নিয়ে খেলা করছেন? 

অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তার মধ্যে এসকে সিনহার প্রতিচ্ছবি দেখতে পান নিয়োগপ্রাপ্তরা। 

এসময় উপস্থিত চাকরিপ্রাপ্ত, ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে স্ব স্ব পদে পদায়নে অনুমতির দাবি জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলওয়ার হোসেন ডিলস, ফিরোজ মাহমুদ, রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা মতিউর মর্তুজা, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এস কে এম আরকান বাপ্পী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবস ৬ মে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে যান। মন্ত্রণালয় সেদিনই এ নিয়োগ 'অবৈধ' ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই প্রেক্ষিতে ৮মে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই ১৩৮ জনের চাকরিতে যোগদান প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরে তদন্ত কমিটি গত ২৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এর মধ্যেই নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ