ঢাবির শতবর্ষের অনুষ্ঠান পেছাচ্ছে, অনলাইনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

শতবর্ষকে ঘিরে ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা থাকলেও আপাতত সেটি হচ্ছে না। করোনা মহামারির কারণে সেটি অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে পিছিয়ে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে। তবে জুলাইয়ে ১ তারিখে অনলাইনে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শতবর্ষ উপলক্ষে জুলাই থেকে যেসব প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিলো সেগুলো করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। লকডাউনের সময় বাড়ছে। লকডাউনে তো আর এসব করা সম্ভব না।

আরো পড়ুন প্রাণের ক্যাম্পাসে আর ফেরা হবে না ওদের

অন্যদিকে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জুলাইয়ের এক তারিখে যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হওয়ার কথা সেটি মাননীয় আচার্য যখন সম্মতি দিবেন তখনই অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া লন্ডন কনফারেন্সসহ অন্যান্য যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখেই আমাদের সেগুলো পালন করতে হবে। তবে আমাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আছে।

তথ্যমতে, আগামী ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ছিল। আর তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে প্রধান অতিথি হিসেবে রাখার পরিকল্পনা ছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষের।

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ভাবনা এবং খ্যাতিমান পণ্ডিত, গবেষক ও বিশেষ করে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক চুক্তি ও সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১২-১৪ জুলাই লন্ডনে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন হওয়ার কথা ছিলো। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মেয়ে অ্যানকে এই সম্মেলন উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো বলে জানিয়েছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

এছাড়া আরো যেসব প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিলো সেগুলো হচ্ছে- নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা ও ‘গবেষণা মেলা’, শতবর্ষের ওপর দুটি বই প্রকাশ। এর মধ্যে একটি হল ‘হিস্ট্রি অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি’। এটি সম্পাদনা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. রতন লাল চক্রবর্তী। অন্যটি ‘দি রোল অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি দ্য মেকিং অ্যান্ড শেপিং বাংলাদেশ’। যেটির সম্পাদনা করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ স্যুভেনির ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তথ্যচিত্র তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরের ল্যান্ডস্কেপিংসহ একটি ‘সেন্টেনারি মনুমেন্ট’ নির্মাণ, সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘শতবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : অর্জন ও প্রত্যাশা’ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বরচিত কবিতা নিয়ে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।

শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে এসে শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো একটি ‘মহাপরিকল্পনা’ প্রণয়ন করেছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


সর্বশেষ সংবাদ