১৫ জুন থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার দাবি শিক্ষক সমিতির
আগামী ১৫ জুন থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে দেয়া এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষর করেছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জুন ২০২১ তারিখ থেকে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ পর্যায়ক্রমে (মাস্টার্স চতুর্থ বর্ষ, তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ ও প্রথম বর্ষ) গ্রহণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
পড়ুন: ‘সাত মন ঘিও জোগাড় হবে না, রাজার মেয়েও নাচবে না’
এতে বলা হয়, পরীক্ষা চলাকালীন কেবলমাত্র পরীক্ষার্থীদের হলে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা; সরকারের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা; রাষ্ট্রের প্রচলিত বিধান অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নৈমিত্তিক ছুটি এবং চিকিৎসা ছুটি আইনি কাঠামোর মাধ্যমে নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিক্ষেত্রসমূহের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সুদৃষ্টি কামনা; শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়ের দ্রুত সমাধানকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং করোনাকালীন সময়ে মেডিকেল সেন্টারে সেবার মানোন্নয়ন এবং সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হলে তোলা যাবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, নতুন করে ভ্যাকসিন এলে সেটা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য অগ্রাধিকার দিবে।
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে রবিবারও বিক্ষোভ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট পরিকল্পনার দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজু ভাস্কর্যে ‘প্রতীকী খাটিয়া মিছিল’-এর ঘোষণা দিয়েছেন।