নিয়োগপত্রের শর্ত না মানায় অনিশ্চয়তায় চবির গুরুত্বপূর্ণ সেবা কার্যক্রম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও লোগো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও লোগো  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরতদের নিয়োগপত্রের শর্তানুসারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত বাসায় অবস্থানের শর্ত থাকলেও চার প্রকৌশলী শর্ত মানছেন না।

নিয়োগপত্রের শর্তানুসারে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত বাসায় অবস্থানের শর্ত রয়েছে যাতে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাগরিক সুবিধা ও জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে পারেন।

কিন্তু চবির চার প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত বাসায় অবস্থান না করায় অফিস সময়ের পর পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এই চার প্রকৌশলী হলেন- নির্বাহী প্রকৌশলী হেশাম উদ্দিন আহমদ, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) কায়সার উদ্দিন আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ইমদাদুল হক রিয়াদ ও মো. রাকিব সোলাইমান চৌধুরী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দকৃত বাসার বরাদ্দ বাতিলের জন্য সুপারিশও করেছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ হোসেন। তবে নিয়োগপত্রের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ব্যতীত পরিবর্তনীয় নয় বলে জানা যায়।

আবেদনপত্রে প্রকৌশলীরা উল্লেখ করেন, তাদের বাসা ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে তারা দ্রুত ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে পারেন। তাই তারা নিজ বাসায় অবস্থান করবেন।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কায়সার উদ্দিন আহমেদের বাসা চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। নির্বাহী প্রকৌশলী হেশাম উদ্দিন আহমদের বাসা চট্টগ্রাম নগরের নাছিরাবাদের হিলভিউ আবাসিক এলাকায়, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ইমদাদুল হক রিয়াদ ও মো. রাকিব সোলাইমান চৌধুরীর বাসা নগরের চকবাজার এলাকায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ইমদাদুল হক রিয়াদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর ক্যাম্পাসে আমার নানুর বাসা রয়েছে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে আমি সেখানে অবস্থান করতে পারি।

তবে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. রাকিব সোলাইমান চৌধুরী ও সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) কায়সার উদ্দিন আহমেদ এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

চবির নির্বাহী প্রকৌশলী হেশাম উদ্দিন আহমদকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ হোসেনের সঙ্গে ‍মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনি অফিসে এসে আমার সঙ্গে কথা বলেন। এভাবে কথা বলা যাবে না।

চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, নিয়োগপত্রের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। সবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসায় থাকার কথা কিন্তু অনেকে থাকেন না।


সর্বশেষ সংবাদ