যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করল ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ১০:৫২ AM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২১, ০২:২২ PM
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্রছাত্রীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ফোরাম ইনকরপোরেটেড (ডুয়াফি) দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ মার্চ) ‘মুক্তির পঞ্চাশ’ শিরোনামে অনলাইনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
আয়োজনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বীর বিক্রম ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ, বীর বিক্রম এবং স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ হাসান ইমাম।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বীরাঙ্গনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সঞ্চালনা করেন ড. আশরাফ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডুয়াফির সভাপতি ভয়েস অব আমেরিকায় কর্মরত সাংবাদিক শতরূপা বড়ুয়া। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. সহিদুল ইসলাম ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুয়া) সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। এটি পাক-ভারত যুদ্ধ ছিল না, মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলার মানুষের জনযুদ্ধ।
রাষ্ট্রদূত মো. সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘মুক্তির পঞ্চাশ’ অনুষ্ঠানটিতে স্বাধীনতা সংগ্রামের অর্থনৈতিক পটভূমির ওপর অর্থনীতিবিদ ড. আখতার মাহমুদের সঞ্চালনায় এক আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম আকাশ ও পারভেজ ইমদাদ।
আবৃত্তি, গান, ভিডিও প্রদর্শনীসহ একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবাসী সাবেক ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম বর্ষপূর্তির বছরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করেন। এদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে আলাপচারিতা ও তার গান।