বছরজুড়ে ৭ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আশার আলো সানির ভেন্টিলেটরে
- মো. রাকিবুল হাসান তামিম, ঢাকা কলেজ
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৩৬ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫৬ AM
নতুন ভোরের আলোয় উদ্ভাসিত সতেজ সকাল দিয়েই শুরু হয়েছিল ২০২০ সাল। অদম্য যাত্রায় আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এক ঝাঁক দক্ষ মেধাবী যোগ্যতাসম্পন্ন মননশীল নাগরিক তৈরীর কারখানা ইতিহাস ঐতিহ্যের বিদ্যাপিঠ ঢাকা কলেজেও বছর শুরু হয়েছিল শিক্ষা এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে নানান রকম পরিকল্পনা দিয়ে। অদম্য অগ্রযাত্রায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-দীক্ষায়, সামাজিক কার্যক্রমে, মেধা-মননের বিকাশে, শারীরিক-মানসিক আড়ষ্টতা দূরীকরণে বৎসরের শুরুতেই বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে ঢাকা কলেজ। কিন্তু বিধিবাম! করোনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত পৃথিবীর নিস্তব্ধতার সাক্ষী হয়েছে ঢাকা কলেজও।
বছরের শুরুর তিনমাস স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় সক্ষম হলেও করোনার বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্চের ১৮ তারিখ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম। তার পরদিন বন্ধ ঘোষণা করা হয় আবাসিক হলগুলোও। আঠারো একরের যে প্রাঙ্গণ প্রতিদিনই ক্লাস, পরীক্ষা, গান-আড্ডা, হইচই-কোলাহল, আর খেলাধুলায় মুখরিত থাকতো সে প্রাঙ্গণজুড়ে নেমে আসে দীর্ঘ নিস্তব্ধতা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে একজন শিক্ষক, পাঁচ জন শিক্ষার্থী আর তিনজন কর্মচারীর হঠাৎ চলে যাওয়া ব্যথিত করেছে সকলের হৃদয়। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সংবাদে প্রতিবারই শোকে স্তব্ধ হয়েছে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর কর্মচারীরা।
বছরজুড়েই সঙ্গী ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু
গত ১৫ ডিসেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যান কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আফরোজা সুলতানা। এদিন শীতের কুয়াশা ভেদ করে সকালের আলো ফোটার পরপরই আকস্মিক এক দুঃসংবাদে শোকাতুর হয়ে পড়ে ঢাকা কলেজ পরিবার। হঠাৎই ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আফরোজা সুলতানা মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এমন খবরে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়ে সবাই। ১৩তম বিসিএসের ক্যাডার অধ্যাপক আফরোজা সুলতানার আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও দুঃখ প্রকাশ করেন ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু তাহের পাটোয়ারি এবং কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন।
২১ ডিসেম্বর ওষুধের তীব্র প্রতিক্রীয়ায় মারা যান মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের। কিডনি রোগে আক্রান্ত ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল কাদের ওষুধের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় প্রাণ হারান। তিনি স্নাতক চতু্র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবদুল কাদের ‘স্টিভেনস জনসন’ সিনড্রোমেও আক্রান্ত হয়েছিলেন।
দীর্ঘ দশদিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি থাকার পর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ডিসেম্বর (সোমবার) রাত ১১.১৫টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত আবদুল কাদের সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার বনবিহার গ্রামের জয়নালের ছেলে। তার এই অকাল প্রয়াণের খবরে ঢাকা কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন।
গত ১২ ডিসেম্বর ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মেজবাহ উদ্দিন। রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের এই শিক্ষার্থী। সেন্ট্রাল রোডের একটি মেসে থেকেই পড়াশোনা করতেন তিনি। পরীক্ষায় ভালো ফল করার পাশাপাশি পড়াশোনার বাইরেও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এমনকি বিভাগের পক্ষ থেকে অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয় মেজবাহকে। তাই মেজবাহকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে বন্ধু ও সহপাঠীরা।
এর পরদিন ১৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে আনা হয় মেজবাহ উদ্দিনের খন্ডিত দেহ। দুপুর ১২টায় কলেজের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে চিরবিদায়ের পথে বাক্সবন্দি হয়েই ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ির পথে রওয়ানা দেন মেজবাহ উদ্দিন। পরে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বালুরচড় গ্রামে দ্বিতীয় দফা নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় সমাহিত তিনি।
গত ৩ অক্টোবর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ঢাকা কলেজের স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম। টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা ফেরার পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হন ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম ৷ নিহত রবিউল কলেজের শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল৷ দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা-আশুলিয়া সড়কের বেড়িবাঁধ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে ৷
গত ৪ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদভী। মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে ঝরে যায় ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদভী (২০)। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে শিবচরের পাচ্চর গোলচত্বর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাদভী নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ইটনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
৯ আগস্ট আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে নিহত হন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী সোহেল রানা। ব্রক্ষ্মপুত্রের শাখা নদী আড়িয়াল খাঁয় গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে নিহত হন ঢাকা কলেজের ২০১৭-১৮ সেশনের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের এই শিক্ষার্থী। এদিন বন্ধুবান্ধবসহ গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন সোহেল রানা। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় লোকজন এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল দীর্ঘ সময় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি।
পরে ১০ আগস্ট ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণপুর গ্রামে মাঝ নদীতে ভেসে উঠে সোহেল রানার লাশ। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত মে মাসে কলেজের অফিস সহকারী মানিক চন্দ্র ধর (অফিস সহকারী, শিক্ষক পরিষদ) স্ট্রোক করে আকস্মিকভাবে পরলোক গমন করেন। এছাড়াও মো. আবদুল মান্নান (অফিস সহকারী, অধ্যক্ষের কার্যালয়) এবং মো. জাহাঙ্গীরও (কেয়ারটেকার) ইন্তেকাল করেন।
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
করোনার প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছিলো ঢাকা কলেজের প্রায় ১৫ জন শিক্ষক। এর মধ্যে অনেকেই আবার পুরো পরিবার সহ আক্রান্ত হয়েছিলেন। যথাযথ চিকিৎসা এবং আইসোলেশনে থেকে সবাই এখন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যারা সবাই এখন সুস্থ হয়েছেন।
দেশে প্রথম অনলাইন ক্লাস শুরু করে ঢাকা কলেজ
করোনাকালে স্থবির শিক্ষা কার্যক্রম বিকল্প উপায়ে এগিয়ে নিতে সারাদেশে প্রথম অনলাইন ক্লাস চালু করে ঢাকা কলেজ। করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে চলতি বছরের মার্চের ১৮ তারিখে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবার পর পহেলা এপ্রিল থেকেই একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হওয়া এই অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সারাদেশের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য।
ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ১ হাজার ১৫৪ শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিটি অনলাইন ক্লাস দেখেছে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদের এমন উদ্যোগে সুফল পেয়েছে দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। ঢাকা কলেজ করোনাকালে প্রথম থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক ক্লাস অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে শুরু করে। প্রাথমিক অবস্থায় উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর ক্লাস শুরু করলেও পরবর্তীতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ক্লাস শুরু হয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত অনলাইনে এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে বলেও জানিয়েছে কলেজ প্রশাসন। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বন্ধকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় শিক্ষাকার্যক্রম পৌঁছে দেওয়ার পথিকৃৎ ঢাকা কলেজের এই অনন্য অবদানের জন্য সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (অনলাইন ক্লাস) হিসেবে আইসিটি খাতে অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করেছে সরকারের আইসিটি ডিভিশন।
ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুবায়ের সানির ভেন্টিলেটর উদ্ভাবন
করোনার ভরপুর দাপটে তটস্থ ছিলো পুরো বিশ্ব। দেশের অবস্থাও ছিলো সংকটময়। দেশের হাসপাতালগুলোতে ছিল পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর সংকট। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ এপ্রিল দেশীয় বাজারে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটরের যোগান দিতে সাশ্রয়ী মূল্যের ভেন্টিলেটর উদ্ভাবন করার কথা জানান ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য সানি জুবায়ের।
যেকোন সংক্রমণ বা জরুরি অবস্থায় রোগীর ফুসফুস অকার্যকর হলে কৃত্রিম ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস চালিয়ে নিতে অত্যাবশ্যকীয় মেডিকেল ইকুইপমেন্ট হিসেবে ভেন্টিলেটর ব্যবহৃত হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মারাত্মক অবস্থা মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর নেই।
যেসব রোগীর সংক্রমণ খুবই মারাত্মক তাদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী যন্ত্র হলো এই ভেন্টিলেটর। রোগীর ফুসফুস যদি কাজ না করে তবে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটা ভেন্টিলেটর করে দেয়৷ কিন্তু দেশে প্রয়োজনের তুলনায় ভেন্টিলেটরের পরিমান খুবই কম। এমন অবস্থায় দেশীয় পদ্ধতিতে কলেজ শিক্ষার্থীর তৈরিকৃত এমন সাশ্রয়ী ভেন্টিলেটর আশার আলো দেখাচ্ছে।
করোনাকালীন সময়ে ঢাকা কলেজে উদ্যোগে অনলাইন ফেস্টিভ্যাল
করোনাভাইরাসের সময়েও থেমে ছিল না ঢাকা কলেজের কার্যক্রম। ক্লাস ও অন্যান্য পাঠ্যক্রম কর্মসূচি পুরোটাই হয়েছে অনলাইনে। তবে ক্লাস আর পাঠ্যক্রম কর্মসূচির বাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনলাইন ফেস্টিভাল। যার আয়োজন করেছে ঢাকা কলেজ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব ৷ ১১ ও ১২ জুন ঢাকা কলেজ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব ‘ইমব্রোগ্লিও এ্যাপেক ১.০ (জটিল অবস্থার কাল ১.০) নামে দুই দিনব্যাপী একটি অনলাইন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনটির মূল উদ্দেশ্য ছিল মহামারি প্রাদুর্ভাবের এমন দুঃসময়ে তাঁরা ঘরবন্দী ধূসর জীবনে কিছুটা রঙ ছড়ানোর চেষ্টা।
১৪টি ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টের সমন্বয়ে ফেস্টিভালটির আয়োজন করা হয়। মিম জমা দেওয়া থেকে শুরু করে অনলাইন ফটোগ্রাফি, প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতাসহ সবকিছু অনুষ্ঠিত হয় অনলাইনে। ইভেন্টটি ১৪ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং দুই হাজারের বেশি ব্যক্তি এই অনলাইন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা যখন ঘরে বসে অলস সময় পার করছে এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত করতে অনলাইন বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছে ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব। ডিসিডিএস ডিউস এক্স মেশিনা ১.০ (DCDS DEUS EX MACHINA 1.0) নামের এই বিজ্ঞান মেলায় অলিম্পিয়াডস, কুইজ, রোবটিক্স ডিজাইন, সাইন্স-ফিকশন গল্প লেখা, পোস্টার ডিজাইন, সাইকোলজিক্যাল গেটওয়ে, গেমসহ মোট ১১টি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
পাশাপাশি জাতীয় বিভিন্ন দিবস এবং অভ্যন্তরীণ কার্যাদি সম্পন্ন করতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সেমিনার এবং অনুষ্ঠান। সবমিলিয়ে করোনায় সবকিছু স্থবির হলেও নানান কার্যক্রমের মাধ্যমে সরব ছিলো ঢাকা কলেজ। অতীতের সকল গ্লানি আর ব্যর্থতা দূরে ঠেলে নতুন বছরে আবারো পূর্ণোদ্দমে সামনের দিকে অগ্রসর হবে ঢাকা কলেজ এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।