জমজমাট টিএসসি, স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই; বহিরাগতদের দৌরাত্ম

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি  © ফাইল ফটো

নেই কোন শিক্ষার্থী, নেই কোন ক্লাস। তবুও জমজমাট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং অন্যান্য এলাকা। বিকেল হলে টিএসসিএর এই ভিড় পরিণত হয় গণজমায়েতে। করোনার বিস্তার রোধে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ সীমিত করার কথা বলে হলেও সেটি কেবল কাগজেই সীমাবদ্ধ। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই।

মার্চের মাঝামাঝি থেকে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বন্ধ রয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ এই বিদ্যাপীঠ। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা না থাকলেও বহিরাগতদের অভাব নেই। ছুটির দিনে অন্যান্য দিনের চাইতে বহুগুণে বৃদ্ধি পায় বহিরাগতদের সংখ্যা। বহিরাগতরা মেনে চলে না স্বাস্থ্যবিধি। আগের মতো জমজমাট ক্যাম্পাসের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা টিএসসি। এই পরিবেশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই দায়ী করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে গতকাল শুক্রবার থেকে মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এই ব্যবস্থা কাদের জন্য? জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, এই ব্যবস্থা ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বা তাদের সন্তানদের জন্য।

বহিরাগতদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, বহিরাগতরা সন্ধ্যা ৬ টার পরে টিএসসি এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা কেন আসবে! এখানে কাউকে তো অফার করা হচ্ছে না। কাউকে ইনভাইট করা হচ্ছে না।প্রশ্ন তুলেন গোলাম রাব্বানী।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আর পরিবেশ বিবেচনায় বিভিন্ন ফটকে প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্যরা পাহারাদার হিসেবে থাকবে বলেও জানান তিনি।

তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আসা বন্ধ করতে হলে প্রক্টরিয়াল টিমকে আরও কঠোর হতে হবে। ক্যাম্পাসে প্রবেশের পথগুলোতে চেকপোস্ট বসাতে হবে। তবেই বহিরাগতদের থেকে ক্যাম্পাস মুক্ত করা সম্ভব হবে।


সর্বশেষ সংবাদ