ড. জিয়ার বক্তব্যে এডিট করা: শিক্ষক সমিতি

ড. জিয়া রহমান ও ঢাবির লোগো
ড. জিয়া রহমান ও ঢাবির লোগো  © টিডিসি ফটো

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের বক্তব্য এডিট করে খণ্ডিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে একটি মহল রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা।

আজ শুক্রবার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাে: নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, দেড় বছর আগে ডিবিসি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত একটি টক-শাে থেকে ক্রিমিনালজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের বক্তব্য এডিট করে খণ্ডিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে একটি মহল রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। একইসঙ্গে তারা বিকৃত রুচির পরিচয় দিয়ে অনলাইনে নানা ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এরকম কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যকর পরিষদ সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের একাডেমিক বিশ্লেষণকে রাজনৈতিক-অপব্যবহার কাম্য হতে পারে না। সমিতি এ ধরনের হীন কার্যক্রমে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে। শিক্ষক সমাজের বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য সভায় আহবান জানানাে হয়।

প্রসঙ্গত, ‘ডিবিসি নিউজ’ টেলিভিশন চ্যানেলের ‘উপসংহার’ নামে টক শো’তে ‘ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ’ শিরোনামে আলোচনায় ‘আসসালামু আলাইকুম’ ও ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলাকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বক্তব্য দেন ড. জিয়া রহমান।

সম্প্রতি বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অনেকেই এর সমালোচনা করেন। এ নিয়ে গত রবিবার (২৫ অক্টোবর) মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম একটি ও ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী অপর মামলাটি করেন। পরে মামলা তদন্তের জন্য পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


সর্বশেষ সংবাদ