ছাত্রীর শ্লীলতাহানি: ৬ বছর পর চূড়ান্ত সাজা পেলেন ঢাবি অধ্যাপক

অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সাল। এদিন যৌন হয়রানির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাইফুল ইসলামকে ক্লাসরুমে আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ- পরীক্ষার খাতায় নম্বর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিজ বাসায় ডেকে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন ওই শিক্ষক। পরে ওই ছাত্রী কান্ন‍াকাটি শুরু করলে সাইফুল ইসলাম দরজা খুলে দেন।

এর ঘটনার প্রায় ১ বছর পর অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। এর পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর গতকাল সেই শিক্ষককে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনার কারণে ছাত্রীর অভিযোগে ভিত্তিতে ১৫ সেপ্টেম্বর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। আজীবন বরখাস্ত চেয়ে প্রথমে তাকে অবরুদ্ধ করেও রাখা হয়। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে ওইদিন দুপুরেই পদত্যাগ করেছন সাইফুল ইসলাম। পরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছিল।

যদিও ঘটনার শুরু থেকে ওই শিক্ষক নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তার বক্তব্য- ‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে এসব করা হয়েছে’।


সর্বশেষ সংবাদ