ঢাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা শঙ্কা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের শ্যাডো পয়েন্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানার টানানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে এ নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ক্রিয়া সম্পাদক মো. সাইফ উল্লাহ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের এমন কার্যক্রম নিসঃন্দেহে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক ঘটাবে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা বারবার বলেছি, ছাত্রলীগ নেতাদের বিচারের বিষয়ে প্রশাসন ছিল উদাসীন। আমরা বলেছি, হলগুলোতে এখনো ছাত্রলীগের অবস্থান সক্রিয় রয়েছে, তারা বিভিন্ন মোড়কে কিছু সংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় হলগুলোতে অবস্থান করছে। পদত্যাগকারী ছাত্রলীগ থেকে শুরু পদত্যাগহীন ছাত্রলীগ সবাই ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ভোটার তালিকার মধ্যেও আমরা ছাত্রলীগ নেতাদের নাম দেখেছি। সুতারাং প্রশাসনকে বলব, ক্যাম্পাসের শ্যাডো পয়েন্টের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনের নীরব ভূমিকাই প্রমান করে এই প্রশাসন এদের বিচারে কতোটা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাকসু সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জায়গায় রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ব্যানার টানিয়ে যায়, যা প্রসাশনের চমরতম ব্যর্থতা। আমরা শিক্ষার্থীর সচেতন আছি। আমরা বিক্ষোভ মিছিল করব যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিসিটিভি চেক করা হয়। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়। সামনে যেন কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে স্থান করতে না পারে, সেটা নিয়ে আমরা সোচ্চার আছি।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকটে বিপর্যস্ত উপকূল, খাবার কমিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছেন ৩০ শতাংশ মানুষ
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফ উদ্দীন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানতে পেয়েছি। শ্যাডোর দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে, তারা কেউ ব্যানার টানাতে দেখেননি এবং শ্যাডোতে ব্যানার টানানো অবস্থায়ও কেউ দেখতে পাননি।’
কারা এ কাজ করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ছাত্রলীগের কেউ হয়তো ব্যাগে করে বা পকেটে করে এনে একটা ছবি তোলে আবার ব্যাগে করে নিয়ে গেছে। আমরা সারারাতের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করছি।’
রাতের আঁধারে এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাওয়া কি প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়—এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘৩২০ একরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৩৭ জন প্রক্টোরিয়াল সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব নয়। আবার কারও ফোন বা ব্যাগ চেক করলেও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রক্টোরিয়াল টিমকে তাদের মতো কাজ করতে দিতে হবে।’