চাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৫টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে শিক্ষার্থীদের ভিড় দেখা যায়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাক্সগুলো সিলগালা করেন।
এদিকে ৩৫ বছর পর এই নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে অনেক নতুন ভোটার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন চবি শিক্ষার্থীরা
প্রথমবারের মতো ভোট দিতে আসা বাংলা বিভাগের নুসরাত লামিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এটা আমার জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। একজন নাগরিক হিসেবে আমার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করছি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের দাবি ও প্রত্যাশাগুলো প্রতিফলিত হবে।’
আরেক শিক্ষার্থী রাকিব ইসলাম একই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘এতো বছর পর সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো ভোট দিতে আসতে পেরে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। আমাদের মত শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আমাদের দাবিগুলো আদায় করে নিতে আরও সহজ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করেন, উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। প্রতিটি ভোটকক্ষে সর্বোচ্চ ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়বেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।