০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:০৯

এবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নোটিশ পেলেন সেই ছাত্রদল নেতা, হতে পারেন বহিষ্কার

ছাত্রদলের লোগো  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জুলাই ৩৬ হলে প্রবেশ করা ৯১ জন শিক্ষার্থীকে 'বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী' বলা ও ছাত্রীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবমাননাকর মন্তব্য করায় দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলনকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার বুলিং প্রতিরোধ কমিটি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল তাকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও হতে পারেন অস্থায়ী বা অন্য যেকোনো মেয়াদে বহিষ্কার। 

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার বুলিং প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. একরামুল হামিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত আনিসুর রহমান মিলন ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শাহ্ মখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে।

শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপত্তিকর ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন আনিসুর। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধির পরিপন্থী ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ কারণে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রীদের ‘যৌনকর্মী’ বলার প্রতিবাদে রাজধানীতে কর্মসূচি ঘোষণা শিবিরের

এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর থেকে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অন্য কারও নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে দাবি করেছিলেন মিলন। তবে সত্যতা যাচাই করতে শাখা ছাত্রদল দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এতে প্রমাণিত হয় যে মন্তব্যটি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন। এজন্য তাকে ছাত্রদল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘যেকোনো নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরদাশত করবে না। শোকজ নোটিশের জবাব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’