পরীক্ষার ডিউটি শেষে ফেরার পথে বাস চালক-হেলপারের মারধরের শিকার ঢাবি শিক্ষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ PM

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিউটি শেষে ফেরার পথে বাস চালক ও হেল্পারের কাছে মারধর ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক আদিব শাহরিয়ার জামান। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার পর রাজধানীর মিরপুর ১১ তে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি নিয়ে ওই শিক্ষক নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে লিখেন, ‘আজকে ১৫-২০ মিনিট আগে আমাকে মিরপুর সুপার লিংক (৩৬ নম্বর) বাসের ড্রাইভার এবং হেল্পার মিলে শত মানুষের সামনে মেরেছে। আমি আজকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের এডমিশন এক্সাম ডিউটি শেষ করে মেট্রো না থাকায় লোকাল বাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেই। দীর্ঘদিন লোকাল বাসে ওঠার অভ্যেস নেই। যাই হোক, ৩৬ নাম্বার বাসে উঠি নিউমার্কেট থেকে। বাসটি মিরপুর ১০ এ এসে সিগনালে পরে। দীর্ঘ মিনিট বিশেক সিগনালে দাঁড়ানোর পর সিগনাল ছাড়লে বাসটি আরেকবার ইচ্ছাকৃতভাবে আটকাতে নেয়। বাসের অর্ধেকের মত যাত্রীই ছিল ভর্তি পরীক্ষার্থী। তারা অনুনয় করতে থাকে সিগনাল পার হবার জন্য। কিন্তু এরপরেও বাসটি কেবল বায়েই ঘেঁষতে থাকে। আমি তখন ধমক দেই। ধমকের উত্তরে ড্রাইভার আর হেল্পার তর্ক করতে শুরু করে এবং বায়ে একদম ফুল হোল্ড করে দাঁড়িয়ে যায়। আমি তখন হুশ হারিয়ে গালি দেই। এটা আমার ভুল ছিল। কিন্তু সঙ্গে এও যোগ করতে চাই যে আমার কোনও তাড়া ছিল না, আমি কেবলই পরীক্ষার্থীদের স্বার্থ চিন্তা করে কাজটা করি।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ড্রাইভার আমাকে হুমকি দেয় যে আমার স্টপেজে (১১ নাম্বার) আমাকে নামতে দেবে না। একবার লাস্ট স্টপেজে নিয়ে তারা আমাকে পিটাবে। এরজন্য এমনকি তারা অন্য যাত্রীকেও জায়গা মত নামতে দিচ্ছিল না। এতে আমি আবারও রাগারাগি করি এবং ১১ নাম্বারের কাছে বাস থামাতে বাধ্য করি। তখন ড্রাইভার আর হেল্পারও আমার সাথে নামে। ড্রাইভার একটা বাঁশ জোগাড় করে। সেটা দিয়ে সে আমার মাথায় বারি দেয়। সম্ভবত বেশি জোরে বারি দেয় নাই, কারন ব্যথা করছে না। অথবা কাল সকালে টের পাব। এছাড়াও ড্রাইভার আমার পেটে লাথি দেয়, গেঞ্জি ধরে টেনে ছিড়ে ফেলে। এই সময়ে রাস্তা ভর্তি লোক আমাদেরকে ঘিরে থাকে এবং দেখতে থাকে। যেই পরীক্ষার্থীদের জন্য স্ট্যান্ড করেছিলাম, তারাও বাসে বসে জানালা দিয়ে পুরা ঘটনা দেখে। এরপর তাড়াতাড়ি করে বাসে উঠে ড্রাইভার আর হেল্পার বাস টান দেয়। পরীক্ষার্থীরা আশা করি সময়মত পরীক্ষার হলে পৌছাতে পেরেছে।’
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি শুক্রবার বাস সার্ভিস দিতে না পারেন শিক্ষকদের, তাহলে এক্সাম নেয়ার দায়িত্ব কেন নেন?