বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিলো জাবি ছাত্রদল

জাবির বাস
জাবির বাস  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দের সাথে জাবি ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের এক মতবিনিময় সভায় যোগদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলকে দুইটি বাস বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট থেকে মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীরা।

পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শনিবার দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহমেদ দুইটি বাস রিকুইজিশন আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ডবল ডেকার (দ্বিতল) ও সিঙ্গেল ডেকার বাস রিকুইজিশন দেয়া হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি লাল রঙের ডবল ডেকার ও একটি সবুজ রঙের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া একটার দিকে  ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকার উদ্দেশ্য ক্যাম্পাস ছাড়ে। তাঁর আগে বেলা ১২ টায় জাবি শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে ত্যাগী ও নির্যাতিতদের মূল্যায়নের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল করেন সেই নেতাকর্মীরা। তবে মিছিল করা অধিকাংশ নেতাকর্মীরই ছাত্রত্ব নেই বলে জানা গেছে। 

এর আগে গতকাল রাতে শাখা ছাত্রদলের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শনিবার সকাল ১১টায় ট্রান্সপোর্ট চত্বরে দুইটি বাস থাকবে বলে জানান শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসাইন। তিনি এক মেসেজে বলেন, ‘শনিবার বিকাল ৩টার সময় ৩৭/এ সেগুনবাগিচাস্থ কচি কাঁচার মেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জনাব রকিবুল ইসলাম বকুল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দের সাথে জাবি ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশী ছাত্র-ছাত্রীদের মত বিনিময় সভায় অংশগ্রহনে যাতায়াতের জন্য সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় জাবি ক্যাম্পাসের ট্রান্সপোর্টে একটি ডবল ডেকার ও একটি বড় বাস রেডি থাকবে। পূ্র্বের ঘোষনা মোতাবেক সবাইকে যথা সময়ে ট্রান্সপোর্টে উপস্থিত থাকার জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো।’

রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহারের সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ছাত্রদলের কর্মীরা আমার নামে একটা বাস রিকুইজিশন চাইছিল তাই দিয়েছি। এটাতো প্রশাসন দিচ্ছেনা, আমি আমার ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে রিকুইজিশন দিয়েছি। এটাতে কোনো সমস্যা দেখতেছি না। তারা যে দলীয় প্রোগ্রামে যাচ্ছে সেই দলতো নিষিদ্ধ না। তাদের একটা আলোচনা সভা আছে। তারা বাস নিয়ে তাদের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে যেতেই পারে।

তবে বাস রিকুইজিশনের বিষয়টি অস্বীকার করে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহমেদ বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস রিকুইজিশনের জন্য আমি আবেদন করিনি এবং স্বাক্ষরও দেইনি। যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে করা হয়েছে।

বাস রিকুইজিশনের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক আওলাদ হোসেন বলেন, আমি মায়ের অসুস্থতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আছি। তবে অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছে দুইজন শিক্ষক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আবেদন করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে তাদের জন্য বাস অনুমোদন করা হয়েছে। শিক্ষকরা প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিতে পারেন। আবেদনে ব্যক্তিগত কারণ ছিলো বলে অফিস থেকে অনুমোদন করা হয়েছে। পরে তারা কোন কাজে ব্যবহার করেছেন সেটা আমরা জানিনা।


সর্বশেষ সংবাদ