চবি ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে কলা ঝুপড়ির পেছনে ফেলে রাখে ছাত্রদল

  © সংগৃহীত

পূর্ব শত্রুতার জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে পরীক্ষা শেষে কলা অনুষদ থেকে বেরিয়ে জারুলতলার সামনে আসলে ওই নেতাকে গতিরোধ করার পর মারধর করে কলা ঝুপড়ির পেছনে ফেলে রাখেন ছাত্রদলের কর্মীরা।। পরবর্তীতে প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতার নাম শফিকুর রহমান মেঘ। তিনি শাখা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ক্যাম্পাসের উপগ্রুপ সিএফসির অনুসারী ছিলেন মেঘ।  

জানা যায়, আজ বিকেলে মেঘ তার চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শেষে কলা অনুষদ থেকে বেরিয়ে জারুলতলার সামনে আসলে তার গতিরোধ করে কলা ঝুপড়ির পেছনে নিয়ে যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে সেখানে তাকে মারধর করে আহত অবস্থায় ফেলে চলে যান বলে জানা গেছে। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  প্রক্টরিয়াল বডি উদ্ধারের সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা মেঘ অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন। এসময় শাখা ছাত্রদল কর্মী প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সাইদ মোহাম্মদ রেদোয়ানসহ ছাত্রদলের অন্যান্য কর্মীরা সেখানে ছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা মেঘকে উদ্ধার করেন। 

চবি শাখা ছাত্রদল কর্মী সাইদ মোহাম্মদ রেদোয়ান নিজেকে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে দাবি করে বলেন,  ২০১৯ সালে ছাত্রলীগ নেতা মেঘ আমার মোবাইল চেক করে ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ততা আব্দুর রব হলে পেয়ে গেস্ট রুমে নিয়ে মারধর করে। আমাকে মেরে এক পর্যায়ে হল থেকে বের করে দেয়। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী। 

শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ছাত্রলীগের নেতা আপন ইসলাম মেঘ আমাদের ছাত্রদল কর্মী রেদোয়ানকে মেরে হল থেকে বের করে দেয়। মেঘ ক্যাম্পাসে আসলে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ। যেহেতু মেঘ নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত, তাই নিষিদ্ধ কোন সংগঠনের কারোর সাথে আপস নেই। 

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল নোমান। এই ঘটনা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সামনে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, আমরা আশঙ্কা করছি তারা তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময়ে ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতি করার চেষ্টা করতে পারে। আমরা প্রশাসনকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আওয়ামী লীগের আমলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অত্যাচারে আমাদের অনেক কর্মীদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়েছে। তখন তারা পরীক্ষা দিতে আসতে পারেনি, ক্লাস করতে পারেনি। কিন্তু আজকে ছাত্রলীগের ওরা কোন সাহসে ক্যাম্পাসে আসে তা আমরা বুঝতে পারতেছি না।

এ বিষয়ে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একজন শিক্ষার্থী অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। আমরা তাকে উদ্ধার করেছি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সে মোটামুটি সুস্থ হয়ে গেছে। পরে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ