১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯

সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি জাবি শিক্ষার্থীদের

সোমবার রাতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বহন করা গাড়িতে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিলটি করা হয়। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে আবার বটতলায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

এ সময় জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন এবং গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সংহতি প্রকাশ করে। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান শাহারিয়ারের সঞ্চালনায়  বক্তরা বক্তব্য রাখেন। তারা সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলা ও গণহত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি জাবি করেন।

জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া জিসান বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত ব্যক্তিরা যখন হাসপাতালে শুয়ে তাদের দিন পার করছেন, তখন সরকারের ব্যর্থতায় দেশব্যাপী মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের দোসররা। এত বড় আন্দোলনের পরেও দেশ থেকে বিতাড়িত শেখ হাসিনার বক্তব্য দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার চেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না। 

তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার শাস্তি নিশ্চিত করুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের দ্রুত আইনের মুখোমুখি করতে হবে। আজকে তাদের আইনের সম্মুখীন করা হচ্ছে না বলেই বারবার ফ্যাসিস্টরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আরো পড়ুন: সেক্টরভিত্তিক দক্ষ গ্রাজুয়েট না থাকায় বাড়ছে বেকারত্বের ফাঁদ

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে নিয়োজিত যেসব সমন্বয়ক রয়েছেন, তাঁদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে। সেসব হামলা ছিনতাইয়ের নামেই হোক বা অন্য যেকোনোভাবে হোক, আমরা এটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারি যে, ফ্যাসিস্টদের মদদপুষ্ট ব্যক্তিরাই এসব হামলা করছে। 

তিনি আরো বলেন, সরকার ও প্রশাসনকে মনে রাখতে হবে, তাদের বৈধতা আমাদের এ আন্দোলন ও বিপ্লবের মাধ্যমেই নির্ধারিত। তারা যদি আমাদের বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় বা গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের পতনও অনিবার্য। যত দিন না আমরা বিচার পাব এবং যত দিন না দেশের জনগণ নিরাপদ বোধ করবে, তত দিন আমরা রাজপথে অবস্থান করব।